উচ্চ মাধ্যমিকেও পিছনে শহর

মেধা তালিকায় জেলার অপরিচিত স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের নাম উঠে এলেও হাতে গোনা কয়েকটি স্কুল ছাড়া সেখানে কলকাতার নাম কোথায়? উচ্চ মাধ্যমিকের প্রথম দশে থাকা ৫৩ জনের মধ্যে কলকাতার মাত্র ১০ জন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ৩১ মে ২০১৭ ০১:৫৫
Share:

সুফল: উচ্চ মাধ্যমিকের ফল প্রকাশের পরে পড়ুয়াদের উল্লাস। মঙ্গলবার, নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনে। ছবি: শশাঙ্ক মণ্ডল

মাধ্যমিকের পরে উচ্চ মাধ্যমিক মেধা তালিকাতেও পিছনে পড়ে গেল কলকাতা।

Advertisement

মেধা তালিকায় জেলার অপরিচিত স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের নাম উঠে এলেও হাতে গোনা কয়েকটি স্কুল ছাড়া সেখানে কলকাতার নাম কোথায়? উচ্চ মাধ্যমিকের প্রথম দশে থাকা ৫৩ জনের মধ্যে কলকাতার মাত্র ১০ জন।

কলকাতার সরকারি স্কুলগুলির হাল আরও খারাপ। মেধা তালিকায় কোচবিহারের জেনকিন্স স্কুল, বাঁকুড়া জেলা স্কুল, হুগলি কলিজিয়েট স্কুল, হাওড়া জেলা স্কুল, পুরুলিয়া জেলা স্কুলের নাম যেখানে জ্বলজ্বল করছে, সেখানে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না হেয়ার, হিন্দু, বালিগঞ্জ গভর্নমেন্ট, সাখাওয়াত মেমোরিয়াল, বেথুনের মতো স্কুলগুলিকে।

Advertisement

কলকাতার সামগ্রিক ফলে হতাশ শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও। কলকাতার বিভিন্ন পুরনো সরকারি স্কুল কেন জেলার সরকারি স্কুলের মতো ফল করছে না, তা খতিয়ে দেখতে তিনি সংশ্লিষ্ট স্কুলগুলির সঙ্গে বৈঠক করবেন বলে জানিয়েছেন। কলকাতার পুরনো স্কুলগুলির নাম করে তিনি বলেন, ‘‘এদের সঙ্গে কথা বলে পদক্ষেপ করা হবে।’’

এ বছরের মাধ্যমিকে জেলার ফল প্রকাশের পরে শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছিলেন, জেলার পড়ুয়ারা অনেক বেশি মনোযোগী। আর কলকাতার পড়ুয়ারা পড়াশোনার পাশাপাশি ব্যস্ত টেকনোলজি আর সোশ্যাল মিডিয়া নিয়ে। রাজ্যের সরকারি স্কুল শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সৌগত বসু অবশ্য এ দিন বলেন, ‘‘কলকাতার অধিকাংশ ভাল পড়ুয়া সর্বভারতীয় বোর্ডগুলির অধীনস্থ স্কুলগুলিতে চলে যাচ্ছে। তাই এই অবস্থা। বহু খেটেও রাজ্যের বোর্ডগুলিতে বেশি নম্বর তোলা যায় না। তাই ভাল পড়ুয়ারা এই সব বোর্ডে পড়তে চায় না।’’

আরও পড়ুন: সব্যসাচী হয়ে নজর কাড়লেন ‘একলব্যরা’

তাঁর অভিযোগ, এ বার উচ্চ মাধ্যমিকে পদার্থবিদ্যা এবং রসায়নে গড়ে খুবই কম নম্বর উঠেছে। একই অভিযোগ হিন্দু স্কুলের প্রধান শিক্ষক তুষারকান্তি সামন্ত, যাদবপুর বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষক পরিমল ভট্টাচার্যেরও।

উচ্চ মাধ্যমিকে এ বছর পাশের হার ৮৪.২০ শতাংশ। গত বছর ছিল ৮৩.৬৫। ছাত্রদের মধ্যে পাশের হার ৮৫.১৫। ছাত্রীরা পাশ করেছে ৮৩.২৬ শতাংশ। গত বারের তুলনায় ছাত্রীদের পাশের হার বেড়েছে। এ বছর প্রথম বিভাগে পাশ করেছে ৪২ শতাংশ পড়ুয়া। এ বছরই প্রথম নেপালি, উর্দু ও সাঁওতালি মাধ্যমে পড়া পড়ুয়াদের মেধা তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। এ ছাড়া, ওয়েবসাইটে দিয়ে দেওয়া হয়েছে জেলা ভিত্তিক মেধা তালিকা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement