—ফাইল চিত্র।
আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এ বার কর্মবিরতি পালন এবং ক্যাম্পাসে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করলেন হাওড়ার মহেশ ভট্টাচার্য হোমিয়োপ্যাথি কলেজ হাসপাতালের পড়ুয়া-চিকিৎসকেরা। তরুণী পড়ুয়া-চিকিৎসকদের হস্টেলে নিরাপত্তা বৃদ্ধি-সহ একাধিক দাবি তুলেছেন তাঁরা। তাঁদের দাবি, আর জি করের ঘটনায় তাঁরা আতঙ্কিত। ওই তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার তীব্র নিন্দা করে দোষীদের উপযুক্ত শাস্তির দাবিও জানিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা।
সোমবার সকাল থেকে ওই হোমিয়োপ্যাথি হাসপাতালের গেটের সামনে প্ল্যাকার্ড হাতে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেন সেখানকার পড়ুয়া-চিকিৎসকেরা। তাই সকাল থেকেই বহির্বিভাগে চিকিৎসা পরিষেবা কার্যত বন্ধ হয়ে যায়। দূর-দূরান্ত এবং অন্যান্য জেলা থেকে আসা রোগীরা চিকিৎসা না পেয়েই ফিরে যান। তবে বিক্ষোভকারী চিকিৎসকদের দাবি, এ দিন জরুরি বিভাগ ও অন্তর্বিভাগে চিকিৎসা পরিষেবা অব্যাহত ছিল।
অবস্থানকারী চিকিৎসক-পড়ুয়াদের বক্তব্য, আর জি করে যা ঘটেছে, তা দেখে তাঁরা আতঙ্কিত। আর জি করের পড়ুয়াদের মতো তাঁরাও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। ওই সরকারি হোমিয়োপ্যাথি কলেজের তরুণী চিকিৎসক সাইনি ইসলাম বললেন, ‘‘আমাদের এই
হাসপাতালে চিকিৎসক-ছাত্রীদের একটি হস্টেল রয়েছে। সেখানে ৩২ জন তরুণী চিকিৎসক থাকেন। জায়গাটা খুবই নিরিবিলি। সিসি ক্যামেরা থাকলেও সেগুলি ভাঙা। হস্টেলে আলাদা কোনও নিরাপত্তারক্ষী নেই। আর জি করের ঘটনার পরে আমরা, হস্টেলের পড়ুয়া-চিকিৎসকেরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।’’
এ দিন ওই হাসপাতালের চিকিৎসকেরা জানান, তাঁদের দাবি পূরণ না হলে এ ভাবেই
কর্মবিরতি এবং অবস্থান বিক্ষোভ চলবে। এই প্রসঙ্গে মহেশ ভট্টাচার্য হোমিয়োপ্যাথি কলেজের অধ্যক্ষ মাধবানন্দ সাহা বললেন, ‘‘চিকিৎসক-পড়ুয়াদের দাবিগুলি খুবই
যুক্তিসঙ্গত। বিষয়টি রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরকে জানিয়েছি। আমাদের হাসপাতালে ৭৫টি সিসি ক্যামেরা রয়েছে। চার জন নিরাপত্তারক্ষী আছেন। ওই নিরাপত্তারক্ষীরা মেয়েদের হস্টেলের নিরাপত্তাও দেখেন। তবে, ছাত্রছাত্রীদের দাবি মতো নিরাপত্তা যাতে আরও বাড়ানো যায়, সেই বিষয়টিও আমরা খতিয়ে দেখছি।’’
উল্লেখ্য, এই হাসপাতালে চিকিৎসক ছাড়াও বিভিন্ন বিভাগের ৯৪ জন পড়ুয়া-চিকিৎসক রয়েছেন। বহির্বিভাগে নিত্যদিন গড়ে ৫৫০ থেকে ৬০০ জন রোগী চিকিৎসা করাতে আসেন। এ ছাড়া, হাসপাতালে ৬০টি শয্যা রয়েছে।