Suicide

মুম্বই থেকে ফিরে ‘বদ্ধ’ জীবন, অবসাদেই কি ‘আত্মঘাতী’ ডন বস্কোর ছাত্র

আনন্দপুরের অভিজাত আবাসনে ‘আত্মঘাতী’ পড়ুয়ার মৃত্যুরহস্য ক্রমশই ঘনীভূত হচ্ছে।

Advertisement

সোমনাথ মণ্ডল

কলকাতা শেষ আপডেট: ৩০ নভেম্বর ২০২০ ১৮:৪৯
Share:

অবসাদেই কি ‘আত্মঘাতী’ ডন বস্কোর ছাত্র?

আনন্দপুরের অভিজাত আবাসনে ‘আত্মঘাতী’ পড়ুয়ার মৃত্যুরহস্য ক্রমশই ঘনীভূত হচ্ছে। কারণ এখনও স্পষ্ট না হলেও, পুলিশি তদন্তে উঠে আসছে নানা দিকে। লকডাউনের পর ‘চার দেওয়ালের জীবন’-এ কী হাঁপিয়ে উঠছিল রুদ্রনীল দত্ত! না কি পারিবারিক অশান্তির কারণে মানসিক চাপ সহ্য করতে না পেরে জীবন শেষ করে দেওয়ার মতো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিল সে? রুন্দ্রনীলের মৃত্যুর পর, এমন নানা জল্পনা শুরু হয়েছে দক্ষিণ-পূর্ব শহরতলির ওই আবাসন চত্বর ঘিরে।

Advertisement

‘আরবানা হাউসিং কমপ্লেক্স’-এর পাঁচ নম্বর টাওয়ারের বাসিন্দা ছিলেন রুদ্রনীল। বাবা একটি নামী বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে উচ্চপদে কর্মরত। সোমবার সকাল ১০টা ১০ মিনিট ঘটনাটি ঘটেছে। ডন বস্কো স্কুলের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র রন্দ্রনীল পড়াশোনায় খুব একটা খারাপ ছিল না। বাড়িতে থাকার চেয়ে বন্ধুবান্ধবদের ঘোরাফেরা এবং মেলামেশা করতেই ভালবাসত বছর ১৭-র ওই কিশোর।

গত বছরের জুলাই নাগাদ মুম্বই থেকে কলকাতায় ফেরে রুদ্রনীল। কলকাতায় ফেরার পর ধাতস্থ হতে কিছুটা সময় লাগে তার। বিত্তশালী পরিবারে বড় হওয়ায় জীবনে কোনও কিছুরই অভাব ছিল না। পার্টিও করত। কলকাতায় এসে ডন বস্কো স্কুলে ভর্তি হওয়ার পর নতুন বন্ধুদের সঙ্গে মেলামেশা করতে থাকে। কিন্তু করোনার কারণে লকডাউনের জেরে তার বাইরে বেরোনো বন্ধ হয়ে যায়। ছোটবেলার বেশির ভাগটাই কেটেছে মুম্বইয়ে। কলকাতায় ফেরা নিয়ে পরিবারের সঙ্গে তার মনকষাকষিও হয়, এমন কথাও শোনা যাচ্ছে।

Advertisement

আরও পড়ুন: ভুল জায়গায় পড়ে থাকা সিরিঞ্জের খেসারত কত দিন?

নানা কারণে পরিবারের সঙ্গে তার মনোমালিন্য শুরু হয়। তা নিয়ে বাবা-মায়ের সঙ্গেও দূরত্বও বাড়ছিল। এমন সব জল্পনার মধ্যে সব দিক খতিয়ে দেখছে পুলিশ। রুন্দ্রনীল কোনও ভাবে নেশাগ্রস্থ হয়ে পড়েছিল কি না, তা-ও খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলছেন তদন্তকারীরা।

আরও পড়ুন: আনন্দপুরের অভিজাত আবাসনের ২৪ তলা থেকে ‘ঝাঁপ’ ছাত্রের, ঘটনাস্থলে গোয়েন্দারা

সোমবার সকালে সে কোনও বিষয়ে মানসিক ভাবে ভেঙে পড়ে বলে মনে করা হচ্ছে। পরিবারের লোকজনের সামনেই রুদ্রনীল শৌচালয়ের জানলা থেকে ঝাঁপ দেয়। মৃত্যুর সঠিক কারণ কী, সামনে আসেনি। পুলিশ অত্যন্ত গোপনীয়তার সঙ্গে এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। মানসিক অবসাদ থেকে মাদক, এমনকি পারিবারিক অশান্তির মতো বিষয়ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement