Joint Entrance Examination

Joint Entrance Exam: নথি এনে, কেন্দ্রে পৌঁছে পরীক্ষার্থীদের পাশে পুলিশ

দ্রুত জোগাড় করা হয় পুলিশের দু’টি মোটরবাইক। তার পর ১২টার মধ্যেই পরীক্ষা কেন্দ্রে নথি পৌঁছে দেওয়া হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৮ জুলাই ২০২১ ০৭:২২
Share:

—ফাইল চিত্র।

Advertisement

জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষা শুরু হতে তখনও কিছুটা দেরি। পরীক্ষার্থীদের সব নথি ঠিকঠাক আছে কি না, তা খতিয়ে দেখার পরেই তাঁদের পরীক্ষা কেন্দ্রে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে। এর মধ্যেই পরীক্ষা কেন্দ্রের বাইরে টহলরত পুলিশকর্মীরা দেখতে পান, গেটের সামনে জটলা। কী হয়েছে, জানতে গেটের সামনে গিয়ে তাঁরা দেখেন, চিন্তিত মুখে বসে আছেন এক ছাত্রী ও তাঁর মা। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ অফিসারেরা জানতে পারেন, ওই ছাত্রী জরুরি কিছু নথি না নিয়েই পরীক্ষা কেন্দ্রে চলে এসেছেন। কিন্তু ওই নথি ছাড়া পরীক্ষা কেন্দ্রে ঢুকতে দেওয়া হবে না বলে জানানো হয়েছে তাঁকে।

পুলিশ জানায়, বড়তলা থানার দুই অফিসার ওসির সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তখনও পরীক্ষা শুরু হতে ২০ মিনিটের কিছু বেশি বাকি। ওসি দেবাশিস দত্ত সব শুনে রফিকুল ইসলাম এবং ইউনুস আলি নামে ওই দুই অফিসারকে নির্দেশ দেন, ওই ছাত্রীকে পরীক্ষা কেন্দ্রে ঢোকার ব্যবস্থা করে দিতে হবে।

Advertisement

পরীক্ষা কেন্দ্রের সঙ্গে কথা বলেন ওই দুই অফিসার। তাঁদের অনুরোধে নথি ছাড়াই জিয়া সিংহ নামে ওই ছাত্রীকে পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হয়। পুলিশকর্মীরা আশ্বাস দেন, নথি এনে দেওয়া হবে। দ্রুত জোগাড় করা হয় পুলিশের দু’টি মোটরবাইক। ইউনুস আলি ওই পরীক্ষার্থীর মা সবিতা সিংহকে বাইকে বসিয়ে ছোটেন তাঁদের মধ্যমগ্রামের রবীন্দ্রনগরের বাড়িতে। নথি নিয়ে ১২টার মধ্যেই পরীক্ষা কেন্দ্রে ফিরে আসেন তাঁরা। পুলিশ জানিয়েছে, শনিবার ঘটনাটি ঘটে বেথুন কলেজিয়েট স্কুলের পরীক্ষা কেন্দ্রে।

অন্য দিকে, একই ধরনের আর একটি ঘটনায় দুই পরীক্ষার্থীকে সময়মতো কেন্দ্রে পৌঁছে দিল পুলিশ। এ দিন সকালে যাদবপুর থানার কাছে ডিউটি করছিলেন এক পুলিশ অফিসার। সে সময়ে দুই যুবক এসে তাঁকে জানান, তাঁরা বিহার থেকে এসেছেন, জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষা দিতে। তাঁদের সিট পড়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সল্টলেক ক্যাম্পাসে। কিন্তু তাঁরা ভুল করে যাদবপুরের মেন ক্যাম্পাসে চলে এসেছেন। যাদবপুর ট্র্যাফিক গার্ডের ওই অফিসার নিলয় হালদার দেখেন, পরীক্ষা শুরু হতে বাকি মাত্র ৪০ মিনিট। কোনও গাড়ি জোগাড় করতে না পেরে ওই অফিসার পুলিশের আর একটি মোটরবাইকের ব্যবস্থা করেন। এর পরে দু’টি মোটরবাইকে দুই পরীক্ষার্থীকে চাপিয়ে কুড়ি মিনিটে সল্টলেকে পৌঁছে দেওয়া হয়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement