গ্রাফিক: তিয়াসা দাস
রাজ্য সরকার ফের ছাত্র নির্বাচনের দরজা খুলে দেওয়ার পরে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ই প্রথমে ছাত্রভোটের নির্দেশ দিল। প্রেসিডেন্সি-কর্তৃপক্ষের নির্দেশ, পুরনো আইনের ভিত্তিতেই ছাত্র সংসদের ভোট হবে ১৪ নভেম্বর। ফল বেরোবে সে-দিনেই। ছাত্র সংসদ গঠন করা হবে ১৫ নভেম্বর।
গত বৃহস্পতিবার সরকারি নির্দেশে বলা হয়েছে, ছাত্র ইউনিয়ন বা ছাত্র কাউন্সিল তৈরির জন্য যাদবপুর, প্রেসিডেন্সি, রবীন্দ্রভারতী ও ডায়মন্ড হারবার মহিলা বিশ্ববিদ্যালয়— কলেজবিহীন এই চার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছাত্রভোট করতে পারে। শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়ে দেন, ভোটের দিনক্ষণ ও নিয়মবিধি সংশ্লিষ্ট চার বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষকেই স্থির করতে হবে। তার পরের দিনেই মন্ত্রী জানান, পরের ধাপে ভোট হবে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলেজে।
রাজ্যে শেষ বার ছাত্রভোট হয়েছিল ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষে। ছাত্র সংসদের নির্বাচন ঘিরে বিভিন্ন কলেজে অশান্তির প্রেক্ষিতে রাজ্য সরকার সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজের মডেলে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে অরাজনৈতিক ছাত্র কাউন্সিল গড়ার কথা ভেবেছিল। পরে বিধানসভায় বিল এনে সরকার সেই কাউন্সিল গড়ার সিদ্ধান্ত নিলেও ছাত্র কাউন্সিল গঠনের বিরোধিতায় নামে বিরোধী ছাত্র সংগঠনগুলি। শাসক দলের ছাত্র সংগঠন টিএমসিপি-ও অগস্টে এক বৈঠকে শিক্ষামন্ত্রীকে জানিয়ে দেয়, ছাত্রছাত্রীরা রাজনৈতিক ছাত্র সংসদের পক্ষেই মত দিয়েছেন।
নতুন বিধি নিয়ে যে ভাবা হচ্ছে না, প্রেসিডেন্সির এ দিনের নির্দেশিকাতেই সেটা স্পষ্ট। প্রেসিডেন্সির ডিন অব স্টুডেন্টস অরুণ মাইতি বলেন, ‘‘প্রেসিডেন্সির ‘স্ট্যাটিউট’ বা বিধি অনুযায়ী ছাত্রভোটের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ভোট হবে পুরনো নিয়মেই।’’ অরুণবাবু জানান, প্রেসিডেন্সিতে ছাত্র কাউন্সিলই বলা হয়। তবে নতুন বিধি অনুযায়ী তার মেয়াদ দু’বছর নয়। পুরনো নিয়মে মেয়াদ এক বছর। ক্লাসে ৭৫ শতাংশ হাজিরা না-থাকলে কোনও ছাত্র বা ছাত্রী ভোটে দাঁড়াতে পারবেন না বলেও জানান ডিন। ৩১ অক্টোবর চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে। অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা নেওয়া হবে ১ নভেম্বর থেকে ৫ নভেম্বর পর্যন্ত।
ডিন অব স্টুডেন্টস জানান, সভাপতি, সহ-সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, সহ-সাধারণ সম্পাদক এবং মেয়েদের কমনরুমের সম্পাদক পদে সরাসরি নির্বাচন হয়। সিআর বা ক্লাস প্রতিনিধি নির্বাচনের পরে তাঁদের মধ্য থেকে আরও সাত জন বিভাগীয় সম্পাদক বেছে নেওয়া হবে।