সৌম্যদীপ দত্ত
বাবা মারা গিয়েছেন অনেক আগেই। বছরখানেক আগে মৃত্যু হয় মায়েরও। মাসির বাড়িতেই থাকতেন বছর সতেরোর সৌম্যদীপ দত্ত। বুধবার কলেজ যাওয়ার পথে নিভে গেল তাঁর জীবনদীপ। চলন্ত ট্রেন থেকে টিটাগড় স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে পড়ে মৃত্যু হয় তাঁর। পুলিশের ধারণা, ট্রেনে ভিড় ছিল বলে অসাবধানতাবশত পড়ে যান তিনি।
পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, আদি বাড়ি হাওড়ায় হলেও সৌম্যদীপ ছোট থেকেই বেলঘরিয়া রথতলায় মাসির বাড়িতে থাকতেন। উচ্চ মাধ্যমিকের পরে কল্যাণীর একটি বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে ভর্তি হন। পুলিশ জানিয়েছে, রোজ ট্রেনেই কলেজ যাতায়াত করতেন সৌম্যদীপ। এ দিনও সকাল ১০টা নাগাদ বেলঘরিয়া থেকে ট্রেনে ওঠেন। প্রচণ্ড ভিড় থাকায় ঝুলেই যাচ্ছিলেন তিনি। ট্রেন টিটাগড়ে ঢোকার সময়ে নামার জন্য যাত্রীদের হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। থামার আগেই ট্রেন থেকে নেমে দাঁড়ানোর পরিকল্পনা ছিল সৌম্যদীপের। কিন্তু স্টেশনে ঢোকার মুখে হাত ফস্কে যায় তাঁর।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, চলন্ত ট্রেন থেকে এক নম্বর প্ল্যাটফর্মে পড়ে যান ওই ছাত্র। তাঁর মাথায় গুরুতর আঘাত লাগে। অন্য যাত্রীরা তাঁকে ব্যারাকপুর বিএন বসু হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে জানান।