রক্ষীর মৃত্যু নিয়ে ধোঁয়াশা এখনও

পুলিশকর্মীদের মতে, লিফটের নীচে নিজে থেকে কারও পড়ে যাওয়া স্বাভাবিক নয়। অতএব খুনের আশঙ্কার কথাও মাথায় রাখছেন তদন্তকারীরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৭ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৩:০৩
Share:

—ফাইল চিত্র

লিফটের নীচে কী ভাবে নিরাপত্তারক্ষীর দেহ পৌঁছল তা নিয়ে পুলিশের ধোঁয়াশা এখনও কাটছে না। পাঁচ দিন নিখোঁজ থাকার পরে বুধবার সল্টলেকের একটি বেসরকারি চক্ষু হাসপাতালের লিফটের নীচ থেকে সেখানকারই রক্ষী নারায়ণ কুণ্ডুর (৫০) দেহ মিলেছিল। পুলিশের দাবি, ওই ঘটনার পর থেকে বেশ কয়েক জনকে জেরা করেও নির্ভরযোগ্য সূত্র মেলেনি। সিসি ক্যামেরায় ঘটনাস্থলের কোনও ফুটেজ মেলে কি না, তাও দেখা হচ্ছে।

Advertisement

পুলিশকর্মীদের মতে, লিফটের নীচে নিজে থেকে কারও পড়ে যাওয়া স্বাভাবিক নয়। অতএব খুনের আশঙ্কার কথাও মাথায় রাখছেন তদন্তকারীরা। আপাতত ময়না-তদন্তের রিপোর্ট হাতে আসার অপেক্ষা করছে পুলিশ। এ দিকে, নারায়ণবাবুর মেয়ে তনুশ্রী কুণ্ডু ঘাটা একই আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন। তাঁর দাবি, ‘‘বাবা খুব সৎ ছিলেন। নিশ্চয়ই হাসপাতালের কোনও দুর্নীতি বাবার চোখে পড়েছিল। তাই তাঁকে মেরে ফেলা হয়েছে।”

বৃহস্পতিবার রাতেই পশ্চিম মেদিনীপুরে ডেবরার গোলগ্রামের নন্দবাড়িতে পৌঁছয় নারায়ণবাবুর দেহ। বাড়িতে রয়েছেন মৃতের স্ত্রী অনিমা কুণ্ডু এবং বছর ছাব্বিশের ছেলে সুজিত কুণ্ডু। মেয়ে তনুশ্রীর বিয়ে হয়েছে সাত বছর আগে। তিন জনের সংসারে একমাত্র রোজগেরে ছিলেন নারায়ণবাবু। পরিজনেরা জানিয়েছেন, দীর্ঘ বছর ধরে একটি সংস্থার মাধ্যমে কলকাতার ইকো পার্কে নিরাপত্তারক্ষীর কাজ করতেন নারায়ণবাবু। মাস দুয়েক ধরে তাঁকে সল্টলেকের এই হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল। গত শুক্রবার হাসপাতালেই কাজে যান তিনি। রাত ১১টা নাগাদ স্ত্রীর সঙ্গে শেষবার কথা হয়েছিল। মেয়ে বলেন, ‘‘শনিবার থেকে বাবার ফোন বন্ধ বলছিল। বাবার সহকর্মীরাও একই কথা জানান। আমার স্বামী-সহ কয়েক জন কলকাতায় গিয়ে খোঁজ করেও কিছু জানতে পারেননি।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement