ফাইল চিত্র।
ভাসানের দূষণ এড়াতে চলতি বছরে নতুন পাইলট প্রজেক্ট গ্রহণ করেছে রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ। তার অঙ্গ হিসেবে লেক টাউন এবং দমদম পার্কের দু’টি পুকুরের ঘাট ঘিরে এমন ভাবে সিন্থেটিক লাইনার লাগানো হবে, যাতে ভাসান-বর্জ্য জলে না পড়ে।
নিউ টাউন কলকাতা ডেভেলপমেন্ট অথরিটি এমন ভাবেই ভাসানের বন্দোবস্ত করে। এ ক্ষেত্রে সেই পদ্ধতিই অনুসরণ করা হচ্ছে। তবে প্রতি বছর পর্ষদ যেমন পরিবেশবান্ধব পুজোর পুরস্কার দেয়, করোনা সংক্রমণ নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে এ বার তা দেওয়া হবে না বলে তারা জানিয়েছে।
দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের চেয়ারম্যান কল্যাণ রুদ্র বুধবার জানান, বিসর্জনের দূষণ এড়াতে পুজোর ফুল, পাতা নদীতে পড়া আটকানোর ব্যবস্থা করা-সহ কী কী নিয়ম মানতে হবে, তা নিয়ে ‘ন্যাশনাল মিশন ফর ক্লিন গঙ্গা’ (এনএমসিজি)-র নির্দেশিকা রয়েছে। তা অক্ষরে অক্ষরে পালন করার জন্য ইতিমধ্যেই সব জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছে নবান্ন। কল্যাণবাবুর কথায়, ‘‘ভাসানের আগে, ভাসানের সময়ে এবং ভাসানের পরে— এই তিনটি পর্বেই আমরা গঙ্গার জলের গুণমান খতিয়ে দেখব।’’
আরও পড়ুন: মণ্ডপ ফাঁকা, তবু ভাটা নেই ঠাকুর দেখার উৎসাহে
আরও পড়ুন: যাত্রী নেই, কমে যাচ্ছে লন্ডনের উড়ান
এ দিন থেকে নবমী (রবিবার) পর্যন্ত পর্ষদের কন্ট্রোল রুম বিকেল ৫টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। কন্ট্রোল রুমের নম্বর হল ১৮০০-৩৪৫-৩৩৯০। সেখানে শব্দবাজি, লাউডস্পিকার বা দূষণ সংক্রান্ত অভিযোগ জানানো যাবে। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পর্ষদের তরফে বিশেষ দল গড়া হয়েছে। তবে পর্ষদ সূত্রের খবর, গত বছরের দুর্গাপুজোয় শব্দবাজি, লাউডস্পিকার নিয়ে তেমন কোনও অভিযোগ জমা পড়েনি।