প্রতীকী ছবি।
স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার সাড়ে চার ঘণ্টার মধ্যে ঠিক চিকিৎসা দিতে পারলে রোগীর ঝুঁকি কমানো সম্ভব। এড়ানো যায় প্রাণহানিও। সেই লক্ষ্যে ‘বাঙুর ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস’ (বিআইএন)-কে প্রধান কেন্দ্র (হাব) করে টেলিমেডিসিন ব্যবস্থায় জেলার হাসপাতালে আসা স্ট্রোকে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল। সেই পাইলট প্রকল্পের সাফল্য দেখে এ বার বিআইএন-এর সঙ্গে যুক্ত করা হল আরও ২৯টি হাসপাতালকে। সেগুলি শাখা কেন্দ্র (স্পোক) হিসাবে থাকবে।
জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে চিকিৎসা পরিষেবা পৌঁছতে সম্প্রতি ‘স্বাস্থ্য ইঙ্গিত’ প্রকল্প চালু করেছে স্বাস্থ্য দফতর। গত ডিসেম্বরে প্রকল্পে যুক্ত করা হয় ‘টেলি নিউরোমেডিসিন ব্রেন স্ট্রোক ম্যানেজমেন্ট’-কে। বিআইএন-এর সঙ্গে ১১টি জেলা হাসপাতাল ও একটি মেডিক্যাল কলেজকে যোগ করে ২৪ ঘণ্টা পরিষেবা দেওয়া হচ্ছিল। শুক্রবার স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, মেডিক্যাল কলেজ, জেলা ও মহকুমা স্তর মিলিয়ে রাজ্যের আরও ২৯টি হাসপাতালকে প্রকল্পে আনা হল। নতুন হাসপাতালগুলিতে এক জন করে নোডাল অফিসারের পাশাপাশি থাকবেন তিন জন মেডিক্যাল অফিসার ও দু’জন সিটি স্ক্যান টেকনিশিয়ান। স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম বলেন, ‘‘পাইলট প্রকল্পের সাফল্য দেখেই এই সিদ্ধান্ত।’’