গড়িয়াহাট উড়ালপুল। —ফাইল চিত্র।
মাঝেরহাট সেতু বিপর্যয়ের পরে শহরের বিভিন্ন সেতু ও উড়ালপুলের স্বাস্থ্য ধাপে ধাপে পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল রাজ্য সরকার। সেই মতো একাধিক পুরনো সেতু ও উড়ালপুলের স্বাস্থ্য পরীক্ষাও হয়েছে। এ বার শহরের চারটি অপেক্ষাকৃত নবীন উড়ালপুলের স্বাস্থ্য পরীক্ষা, অর্থাৎ তাদের ভারবহন ক্ষমতা যাচাই করার সিদ্ধান্ত নিল প্রশাসন।
গত দশকে তৈরি কয়েকটি উড়ালপুল, যেগুলির দায়িত্ব ‘হুগলি রিভার ব্রিজ কমিশনার্স’-এর উপরে, মূলত সেগুলিরই স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে। মঙ্গলবার এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে এমনই সিদ্ধান্ত হয়েছে। কলকাতা ট্র্যাফিক পুলিশ ছাড়াও সেখানে উপস্থিত ছিলেন হুগলি রিভার ব্রিজ কমিশনার্সের আধিকারিকেরা। ওই চারটি উড়ালপুল হল: পার্ক স্ট্রিট উড়ালপুল, লকগেট উড়ালপুল, গড়িয়াহাট উড়ালপুল এবং খিদিরপুর উড়ালপুল। তৈরি হওয়ার পরে এই প্রথম এদের ভারবহন ক্ষমতা পরীক্ষা করা হবে। তবে কবে থেকে ওই স্বাস্থ্য পরীক্ষার কাজ শুরু হবে, তা চূড়ান্ত হয়নি। মনে করা হচ্ছে, চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে কাজ শুরু হবে।
সূত্রের খবর, গত দু’দশকে ওই উড়ালপুলগুলি তৈরি হয়েছে। সেগুলির রক্ষণাবেক্ষণ করে হুগলি রিভার ব্রিজ কমিশনার্স। এর আগে কেএমডিএ এবং পূর্ত দফতরের অধীনে থাকা উড়ালপুলগুলির স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে।
লালবাজার সূত্রের খবর, হুগলি রিভার ব্রিজ কমিশনার্স বৈঠকে জানিয়েছে, পরীক্ষা শুরু হবে পার্ক স্ট্রিট উড়ালপুল দিয়ে। এর জন্য ওই উড়ালপুলে যান চলাচল ন্যূনতম ৭২ ঘণ্টা বন্ধ রাখতে হবে। পুলিশের এক কর্তা জানান, বৈঠকে তাঁদের তরফে জানানো হয়েছে, ওই চারটি উড়ালপুল শহরের অন্যতম ব্যস্ত রাস্তা। সপ্তাহের মাঝখানে যান চলাচল বন্ধ রাখা হলে যানজটের আশঙ্কা রয়েছে। তাই সপ্তাহের শেষ দিন, অর্থাৎ, শুক্রবার রাত ১২টা থেকে সোমবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ধাপে ধাপে এক-একটি উড়ালপুল বন্ধ রেখে স্বাস্থ্য পরীক্ষার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। লালবাজারের মতে, শনি এবং রবিবার গাড়ি চাপ কম থাকায় উড়ালপুল বন্ধ থাকলেও যানজট সামাল দেওয়া যেতে পারে।