যাত্রা: নতুন এসি মিনিবাস। সোমবার। নিজস্ব চিত্র
কলকাতার রাস্তায় বৈদ্যুতিক বাস চালু করার পরিকল্পনা করছে রাজ্য সরকার। সোমবার দমদমে এমনটাই জানালেন রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী।
এ দিন থেকে বিমানবন্দর থেকে হাওড়া ময়দানগামী বাতানুকূল মিনিবাস চালু করল পরিবহণ দফতর। সেই শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বাসের উদ্বোধন করতে এসে শুভেন্দুবাবু জানান বৈদ্যুতিক বাস চালুর ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের নয়া পরিকল্পনার কথা। পরিবহণমন্ত্রী বলেন, ‘‘অন্যান্য রাজ্যে বৈদ্যুতিক বাস ইতিমধ্যেই চালু হয়ে গিয়েছে। ব্যাটারিচালিত বাসের মতোই ওই বাস দূষণ ছড়ায় না। যে কারণে পরিবহণ দফতর পরিকল্পনা করছে বৈদ্যুতিক বাস চালানোর। ওই ধরনের বাস যাঁরা তৈরি করছে, সেই সব সংস্থার সঙ্গে আমাদের কথাবার্তাও চলছে।’’
দমদমের আড়াই নম্বর গেট থেকে এ দিন শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত পাঁচটি বাস চালু হয়। সেই বাস বিমানবন্দর থেকে নাগেরবাজার হয়ে, শ্যামবাজার দিয়ে চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউ ধরে হাওড়া পৌঁছবে। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত এই বাসের হদিসও পাওয়া যাবে বাসের অ্যাপে বলে জানান কর্তারা। পরিবহণমন্ত্রী ছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দমদমের বিধায়ক তথা রাজ্যের তথ্য প্রযুক্তিমন্ত্রী ব্রাত্য বসু, পরিবহণ সচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়, পশ্চিমবঙ্গ পরিবহণ নিগমের চেয়ারম্যান রচপাল সিংহ-সহ দফতরের একাধিক কর্তা।
ব্রাত্যবাবু বলেন, ‘‘অনেক দিন ধরেই দমদমের এই অঞ্চল থেকে সরাসরি হাওড়া যাওয়ার বাসের জন্য বাসিন্দারা আবেদন করছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে সোমবার থেকে সেই বাস চালু হয়ে গেল।’’ অনুষ্ঠানে ব্রাত্যবাবু পরিবহণমন্ত্রীর কাছে আবেদন করেন যাতে নাগরিক সুবিধার জন্য নতুন চালু হওয়া মিনিবাসগুলি দমদমের ভিতরের দিকের রুট দিয়ে চালানো যায়। ব্রাত্যবাবুর সেই মতামতকে গুরুত্ব দিয়ে শুভেন্দু বলেন, ‘‘আমি দফতরের আধিকারিকদের বলছি বিষয়টি খতিয়ে দেখতে,
যাতে বাসগুলি দমদমের ভিতরেও চালানো যায়।’’
পরিবহণমন্ত্রী এ দিন নোয়াপা়ড়া-দক্ষিণেশ্বরের মধ্যে প্রস্তাবিত মেট্রো পথ চালু করার জন্য কামারহাটি পুরসভাকে অনুরোধ করেন। মঞ্চে বসা কামারহাটির চেয়ারম্যান গোপাল সাহাকে উদ্দেশ্য করে পরিবহণমন্ত্রী বলেন, ‘‘ওখানে পুনর্বাসনের কাজ দ্রুত শেষ করুন। ওই মেট্রো মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্ন।’’
একই সঙ্গে বিধাননগর কমিশনারেট এলাকার নিরাপত্তা এবং ট্র্যাফিক ব্যবস্থার বিভিন্ন পরিকাঠামো তৈরির জন্য ২ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা রাজ্য পরিবহণ দফতর মঞ্জুর করেছে বলেও জানান শুভেন্দু।