ফাইল চিত্র।
এত দিন ক্যানসার শল্য চিকিৎসকের পদে নির্দিষ্ট কেউ ছিলেন না। সম্প্রতি রাজ্য জুড়ে সহকারী শিক্ষক-চিকিৎসক থেকে প্রফেসর পদ পর্যন্ত পদোন্নতির তালিকা প্রকাশ পেয়েছে। তাতেই ‘সার্জিক্যাল অঙ্কোলজিস্ট’ পদে এক জন প্রফেসর এবং এক জন সহকারী শিক্ষক-চিকিৎসকের পোস্টিং হয়েছে এসএসকেএম হাসপাতালে। সূত্রের খবর, আগামী কয়েক দিনের মধ্যে রাজ্যের ওই হাসপাতালে চালু হবে ক্যানসার শল্য চিকিৎসার বহির্বিভাগ। কয়েক মাস পরে চালু হবে অস্ত্রোপচারও।
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, ওই নতুন বিভাগ চালু করার জন্য ইতিমধ্যেই এসএসকেএমের তরফে প্রস্তাব জমা পড়েছে। বিষয়টি অনুমোদন পেয়ে গেলেই সপ্তাহে দু’দিন বহির্বিভাগ চলবে এবং দু’দিন অস্ত্রোপচার করা হবে। এখন পিজ-র বক্ষরোগ, স্ত্রী-রোগ-সহ অন্যান্য বিভাগে ক্যানসারের অস্ত্রোপচার করেন সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় চিকিৎসকেরা। ওই নতুন বিভাগ চালু হলে দুই শল্য চিকিৎসককেও প্রয়োজন মতো অন্যান্য বিভাগে ক্যানসার রোগীর অস্ত্রোপচারে যুক্ত করা হবে। শীঘ্রই পিজির রেডিয়োথেরাপি বিভাগ এবং কলকাতা পুলিশ হাসপাতাল মিলিয়ে ক্যানসার শল্য চিকিৎসার পরিষেবা শুরু করা হবে বলে খবর।
মুম্বইয়ের টাটা মেমোরিয়াল হাসপাতালের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে এসএসকেএম হাসপাতালে ক্যানসার চিকিৎসার কেন্দ্র তৈরির পরিকল্পনা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই মতো পিজি-র উল্টো দিকে ইতিমধ্যেই তেতলা বাড়ি তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। ২০২২-র নভেম্বরে মধ্যে সেই কাজ শেষ হবে। অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি বসিয়ে সেখানে ক্যানসারের চিকিৎসা শুরু করা হবে। হাসপাতালের এক আধিকারিকের কথায়, ‘‘ওই তেতলা বাড়িতে চিকিৎসা পরিষেবা শুরু করার পাশাপাশি সংলগ্ন জায়গায় আরও একটি দশতলা বাড়ি তৈরি হবে। এ ছাড়াও তেতলা বাড়িটির উপরে আরও সাতটি তল তৈরি করা হবে। দু’টি ভবন তৈরি হয়ে গেলে পুরোমাত্রায় ক্যানসার চিকিৎসার পরিষেবা পাবেন রোগীরা।’’
স্বাস্থ্য শিবিরের একাংশের মতে, আপাতত দু’জন ক্যানসার শল্য চিকিৎসককে পোস্টিংয়ের মধ্য দিয়ে সেই পরিষেবারই সলতে পাকানোর কাজ শুরু হল পিজি-তে। সূত্রের খবর, পিজির বিভিন্ন বিভাগে কিংবা অন্যত্র চিকিৎসাধীন রোগীদের বায়োপ্সি রিপোর্টে নিশ্চিত ভাবে ক্যানসার ধরা পড়লে, তবেই তাঁরা নতুন ক্যানসার চিকিৎসা কেন্দ্রে পরিষেবা পাবেন। পিজির রোগীদের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট সফটওয়্যারের মাধ্যমে নাম নথিভুক্ত হয়ে যাবে ক্যানসার চিকিৎসা কেন্দ্রে।
সম্প্রতি রাজ্যের পাঁচ জন চিকিৎসকের এক প্রতিনিধিদল মুম্বইয়ের টাটা মেমোরিয়াল হাসপাতালে গিয়েছিল। সেই দলে ছিলেন পিজি-তে পোস্টিং হওয়া এক ক্যানসার শল্য চিকিৎসকও। পাশাপাশি, পিজির রেডিয়োলজির চিকিৎসক-সহ অন্যান্যদের প্রশিক্ষণ দিতে শুরু করেছে মুম্বইয়ের ওই হাসপাতাল।