নূরজাহান খাতুন।
স্নেহের সন্তানকে কোলে নিয়ে আন্দোলনস্থলে দাঁড়িয়ে অঝোরে কাঁদছিলেন দক্ষিণ দিনাজপুরের নূরজাহান খাতুন। তাঁর হার্টের একটা ভালভ নষ্ট হয়ে গিয়েছে। অর্থাভাবে ডাক্তারি পরামর্শ উপেক্ষা করেছেন। চিকিৎসা করাতে পারেননি। তবুও ‘পেটের জ্বালায়’ গত ৭০ দিন ধরে শহিদ মিনারের নীচে অনশন চালিয়েছেন ওই চাকরিপ্রার্থী।
বৃহস্পতিবার বিকেলে শহিদ মিনারের পাদদেশে এসএসসি আন্দোলনকারীদের উৎখাত করতে অভিযান চালায় পুলিশ। এমন অভিযোগই করেছেন আন্দোলনকারীরা। আন্দোলনকারীদের অনেককে পাঁজাকোলা করে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ বাহিনী। শহিদ মিনারের নীচে ধর্নায় বসেছিলেন এসএসসির শারীরশিক্ষা এবং কর্মশিক্ষা বিভাগের চাকরিপ্রার্থীরা। সেখানেই ছিলেন নূরজাহান। পুলিশি অভিযানে আকস্মিকতায় ভেঙে পড়েছেন নূরজাহান।
সন্তানকে কোলে নিয়ে কাঁদতে কাঁদতে বললেন, ‘‘৭০ দিন ধরে অনশন করছি। আমার হার্টের ভালভ নষ্ট হয়ে গিয়েছে। গত দেড় বছর ধরে অসুস্থ। চিকিৎসক এক বছরের মধ্যে অস্ত্রোপচার করতে বলেছেন। কিন্তু টাকার অভাবে তা করতে পারছি না। বাচ্চাকে নিয়ে অসুস্থ শরীরে অনশন করছি।’’
নূরজাহানের অশ্রুভরা আঁখি দেখে আর এক এসএসসি আন্দোলনকারী বীরভূমের সোমা দাসের কথা মনে করাচ্ছে। ক্যানসার আক্রান্ত ওই আন্দোলনকর্মীও চাকরির জন্য ‘যুদ্ধ’ চালাচ্ছিলেন। হাই কোর্টের নির্দেশে স্কুলে শিক্ষকতার চাকরি পান আন্দোলনরত ওই এসএসসি চাকরি প্রার্থী।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।