প্রতীকী ছবি।
আলিপুর আদালতের সরকারি আইনজীবীদের তালিকা প্রকাশিত হতেই তা নিয়ে দেখা দিয়েছে বিতর্ক। প্রশ্ন উঠেছে, ওই তালিকায় মুখ্য সরকারি আইনজীবী কে? সূত্রের খবর, বিতর্কের জল গড়িয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর দফতর পর্যন্ত।
আলিপুর আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, গত পাঁচ বছর ধরে মুখ্য সরকারি আইনজীবীর পদে রয়েছেন রাধাকান্ত মুখোপাধ্যায়। কিন্তু নতুন তালিকায় তাঁর নাম রয়েছে চার নম্বরে। আর এক নম্বরে রয়েছে
আগের সহকারী মুখ্য সরকারি আইনজীবী শিবনাথ অধিকারীর নাম। তার পরেই রয়েছে রাজ্য বার কাউন্সিলের সদস্য তথা আলিপুর আদালতের আইনজীবী বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায়ের নাম।
গত শুক্রবার ওই তালিকা প্রকাশিত হওয়ার পরেই বর্তমানে মুখ্য সরকারি আইনজীবী কে, তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। আর সেই জল্পনায় নতুন মাত্রা যোগ করেছে সোমবারের একটি ঘটনা। এ দিন নিজের দফতরে এসেছিলেন রাধাকান্তবাবু। তিনি এসে দেখেন, সেখানে তাঁর নামের ফলকটি উধাও। রাধাকান্তবাবুর ঘনিষ্ঠদের বক্তব্য, এই ঘটনায় তিনি খুবই অসম্মানিত বোধ করেছেন। তাঁর নিজের কিছু বইপত্র অফিসে রাখা ছিল। দুপুরের পরে সে সব নিয়ে বাড়ি চলে যান তিনি।
আলিপুর আদালতের আইনজীবীদের একাংশের বক্তব্য, রাধাকান্তবাবু এক জন বর্ষীয়ান আইনজীবী। দীর্ঘ দিন দক্ষতার সঙ্গে নানা মামলা সামলেছেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও স্নেহভাজন তিনি। তাই নতুন তালিকার বিষয়টি বোঝা যাচ্ছে না। এ বিষয়ে রাধাকান্তবাবু বলেন, ‘‘গোটা বিষয়টি আমি লিখিত আকারে মুখ্যমন্ত্রীকে জানিয়েছি। এখন দেখি, উনি কী সিদ্ধান্ত নেন।’’
এ বিষয়ে রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক বলেন, ‘‘রাজ্য জুড়ে পাঁচ বছর অন্তর নিম্ন আদালতগুলিতে সরকারি আইনজীবীদের দক্ষতার বিচার করে তালিকা প্রকাশ করা হয়। তবে আলিপুরের তালিকায় কী হয়েছে, তা খোঁজ নিয়ে দেখছি।’’ আলিপুরের আইনজীবী তথা বার কাউন্সিলের সদস্য বৈশ্বানরবাবু বলেন, ‘‘আমি পুর নির্বাচনে প্রার্থী। প্রচারে ব্যস্ত রয়েছি। এই মুহূর্তে কিছু বলা সম্ভব নয়।’’ রাধাকান্তবাবুর নামের ফলক কেন উধাও হয়ে গেল, তার সদুত্তর কেউই দিতে পারেননি।
ওই তালিকার এক নম্বরে থাকা সরকারি আইনজীবী শিবনাথবাবু বলেন, ‘‘তালিকাটি সরকারি বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী বেরিয়েছে বলে শুনেছি।’’