গঙ্গাসাগরে পূর্ণর সাথে সাথে কলকাতা ভিক্টোরিয়া দর্শন ভিন রাজ্য থেকে আসা পূর্ণ্যার্থীদের। ছবি: বিশ্বনাথ বণিক।
গঙ্গাসাগর মেলায় তীর্থযাত্রীদের যাতায়াতের সুবিধার জন্য আজ, বৃহস্পতিবার থেকেই শুরু হচ্ছে সরকারি ও বেসরকারি বাসের বিশেষ পরিষেবা। মেলা উপলক্ষে সরকারি বাসগুলি প্রায় আড়াই হাজার ট্রিপ করবে। বেসরকারি বাসের ক্ষেত্রে সেই সংখ্যা চার হাজার পর্যন্ত পৌঁছতে পারে বলে বুধবার জানিয়েছেন রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী। হাওড়া স্টেশন ও বাবুঘাট থেকে লট-৮ এবং নামখানা পর্যন্ত বিশেষ বাস পরিষেবা থাকছে।
এ ছাড়া, সাগরমেলার সময়ে ৩২টি ভেসেল, ১০০টি লঞ্চ এবং ছ’টি বার্জ পাঠিয়েছে পরিবহণ দফতর। চলবে প্রায় ৭০টি বেসরকারি লঞ্চ-ও। কচুবেড়িয়া থেকে মেলা প্রাঙ্গণ পর্যন্ত পৌঁছতে বেসরকারি বাস এবং প্রি-পেড ট্যাক্সিও থাকছে। ‘অল বেঙ্গল বাস-মিনিবাস সমন্বয় সমিতি’ ২১৮টি বাস পাঠাচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক রাহুল চট্টোপাধ্যায়। মেলা চলাকালীন কেউ গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে থাকছে এয়ার অ্যাম্বুল্যান্স।
মেলার সময়ে বাইরে থেকে আসা তীর্থযাত্রীদের কালীঘাট, দক্ষিণেশ্বর এবং ভূকৈলাস শিব মন্দির দেখানোর জন্য আটটি বিশেষ বাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আগামী ১৩ থেকে ১৬ জানুয়ারির মধ্যে চারটি করে বাস বাবুঘাট এবং হাওড়া স্টেশন থেকে চলবে। এ ছাড়াও, উট্রাম ঘাটে একটি বেসরকারি ক্যাব সংস্থার প্রি-পেড বুথ থাকবে বলে খবর।
মেলা উপলক্ষে ১২ থেকে ১৭ জানুয়ারির মধ্যে মোট ৭২টি বিশেষ লোকাল ট্রেন চালাবে শিয়ালদহ ডিভিশন। এর মধ্যে ১৩ জানুয়ারি, মকর সংক্রান্তির দিন সর্বাধিক ১৫টি লোকাল চালানো হবে বলে জানিয়েছেন শিয়ালদহের ডিআরএম দীপক নিগম। গত বছর মেলা উপলক্ষে আট লক্ষ যাত্রী শিয়ালদহ থেকে যাতায়াত করেছিলেন বলে রেল সূত্রের খবর। মেলা চলাকালীন নামখানাগামী সব ক’টি বিশেষ ট্রেন শিয়ালদহ স্টেশনের ১৫ এবং ১৬ নম্বর প্ল্যাটফর্ম থেকে ছাড়বে।
এর পাশাপাশি, শিয়ালদহ, নামখানা এবং কাকদ্বীপ মিলিয়ে ১০টির বেশি অতিরিক্ত বুকিং কাউন্টার খোলা হবে। শিয়ালদহ ডিভিশনে চালু হবে ভ্রাম্যমাণ টিকিট বিক্রির ব্যবস্থা। মেলা উপলক্ষে সকাল ৬টা ১৫ মিনিট এবং দুপুর ২টো ৪০ মিনিটে শিয়ালদহ থেকে নামখানাগামী ট্রেন ছাড়বে। রাত সাড়ে ৯টায় কলকাতা স্টেশন থেকে বিশেষ লোকাল ট্রেন ছেড়ে প্রিন্সেপ ঘাট, মাঝেরহাট, বালিগঞ্জ হয়ে ১টা ৫ মিনিটে নামখানা পৌঁছবে।