আজ, শনিবার কলকাতা পুরসভার বাজেট। পুর অধিবেশনে যে বাজেট পেশ করা হবে, দিন কয়েক আগে তা তৈরিও করে দিয়েছেন পুরসভার ‘কন্ট্রোলার অব মিউনিসিপ্যাল ফিনান্স অ্যান্ড অ্যাকাউন্টস’ (সিএমএফএ) অফিসার। যা বইয়ের আকারে ছাপাও হয়ে গিয়েছে। তবে বাজেট পেশ হওয়ার ২৪ ঘণ্টা আগে একটি বিষয়ে সাময়িক অস্বস্তিতে পুর প্রশাসন। পুরসভা সূত্রের খবর, বর্তমান সিএমএফএ রাজ্য সরকারের নির্দেশবলে এক বছরের এক্সটেনশনে ছিলেন। চলতি মাসের শুরুতেই তার এক্সটেনশনের মেয়াদ শেষ হয়। নতুন করে সেই মেয়াদ বাড়ানোর জন্য আগেই রাজ্য সরকারের কাছে আবেদন জানানো হয়েছিল। কিন্তু সময়মতো তা না আসায় চিন্তিত হয়ে পড়েন পুরকর্তারাও। পুরসভার এক আধিকারিক জানান, ওই টালবাহানার মধ্যে শুক্রবার রাজ্য সরকারের নির্দেশ আসে পুর প্রশাসনের কাছে। তাতে বলা হয়েছে, ওই অফিসারকে এক্সটেনশন দেওয়া হবে। তবে আর্থিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার পূর্ণাঙ্গ ক্ষমতা তাঁকে দেওয়া যাবে না। এতেই সমস্যায় পড়েন পুরসভার পদস্থ কর্তারা।
এমনিতেই দিন কয়েক ধরে নানা ঘটনা নিয়ে পুর প্রশাসনের কাজে ঢিলেমির অভিযোগ তুলেছেন বেশ কয়েক জন কাউন্সিলর। তার উপরে পুরসভার অর্থ দফতরের মুখ্য অফিসার সম্পর্কে সরকারের নির্দেশ আরও জটিলতা বাড়ায়। এ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়ও কিছু বলতে চাননি। এ দিকে, পুরসভার নিয়মে বাজেট পেশ হওয়ার সময়ে অর্থ দফতরের মুখ্য অফিসারের স্বাক্ষর সংবলিত বাজেট-প্রস্তাব জরুরি। এমন এক পরিস্থিতিতে মেয়র শোভনবাবু পুর কমিশনার এবং সংশ্লিষ্ট পুর অফিসারদের নিয়ে বৈঠক করেন। পরে সিদ্ধান্ত হয়, পুরসভার চিফ মিউনিসিপ্যাল অডিটর দিলীপকুমার হালদারকে সিএমএফএ-র বিশেষ ক্ষমতা দেওয়া হবে। বিকেলেই সেই কাজে সিলমোহর দেন মেয়র। এর পরেই ঠিক হয়, দিলীপবাবুর স্বাক্ষর করা বাজেটই পেশ করা হবে।
এ দিকে, বাজেটের আগে দলীয় কাউন্সিলরদের নিয়ে বৈঠক করার রেওয়াজ রয়েছে পুর বোর্ডের। গত কয়েক বছর ধরেই তা হচ্ছে। কিন্তু এ বার বৈঠক হল না কেন জানতে চাইলে পুর বোর্ডের এক কর্তা জানান, বাজেট পেশ হওয়ার পরে ওই বৈঠক হবে।