ফাইল চিত্র।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুরুষ সহকর্মীদের মতো রাস্তায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা ডিউটি করতে হয় মহিলা পুলিশকর্মী এবং অফিসারদেরও। আবার পুজো কিংবা বইমেলার মতো উৎসব-অনুষ্ঠানেও ভিড় সামলাতে দীর্ঘ সময় পথে থাকতে হয় তাঁদের। আর সেই ডিউটি করতে গিয়ে শৌচাগারের অভাবে প্রায়ই অসুবিধায় পড়েন মহিলা পুলিশকর্মীরা। এ বার তাঁদের কথা ভেবে শহরের বিভিন্ন প্রান্তে এবং জনবহুল জায়গায় ভ্রাম্যমাণ শৌচাগার-ভ্যান রাখার পরিকল্পনা করেছে কলকাতা পুলিশ।
লালবাজার জানিয়েছে, এর জন্য ১৮টি ভ্রাম্যমাণ শৌচাগার-ভ্যান কেনা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই এই প্রকল্পে কেন্দ্রীয় সরকারের ছাড়পত্র চলে এসেছে। মূলত নির্ভয়া প্রকল্পের টাকায় কেনা হবে ওই ভ্রাম্যমাণ শৌচাগার-ভ্যান। এই প্রকল্পে কেন্দ্রীয় সরকার ব্যয় করবে ৬০ শতাংশ টাকা। এই গাড়ি কেনার জন্য সম্প্রতি দরপত্র আহ্বান করেছে লালবাজার। পুলিশকর্তাদের আশা, পুজোর সময়ে এই ভ্রাম্যমাণ শৌচাগার-ভ্যান পথে নামানো যাবে। এর ফলে ডিউটি চলাকালীন শৌচাগারের অভাবে আর অসুবিধায় পড়তে হবে না মহিলা পুলিশকর্মীদের।
পুলিশ সূত্রের খবর, মূলত মহিলা পুলিশকর্মী ও অফিসারদের কথা ভেবে এই ভ্রাম্যমাণ শৌচাগার-ভ্যান রাখা হলেও সেটি ব্যবহার করতে পারবেন পথচলতি মহিলারাও। এর জন্য শহরের জনবহুল এলাকায় এই ভ্রাম্যমাণ গাড়ি রাখার পরিকল্পনা রয়েছে লালবাজারের কর্তাদের।
তবে শুধু ভ্রাম্যমাণ শৌচাগার-ভ্যানই নয়। লালবাজার জানিয়েছে, ডিউটিরত মহিলা পুলিশকর্মীদের পোশাক বদলের জন্য কেনা হচ্ছে ১০টি ভ্রাম্যমাণ পোশাক বদল ভ্যানও। সেগুলি শহরের বিভিন্ন রাস্তায় ঘুরে বেড়াবে। এতে দিনভর ডিউটিতে থাকা মহিলা পুলিশকর্মীদের কোনও সময়ে পোশাক বদলের দরকার হলে তাঁরা ওই গাড়ি ব্যবহার করতে পারবেন।
কলকাতা পুলিশের এক মহিলা কর্মী জানান, ডিউটি চলাকালীন অনেক জায়গাতেই তাঁরা কাছাকাছি শৌচাগার পান না। ফলে ওই অবস্থায় কী করবেন, কোথায় যাবেন— সে সব ভেবে মুশকিলে পড়েন। ভ্রাম্যমাণ পোশাক বদল ভ্যান বা ভ্রাম্যমাণ শৌচাগার-ভ্যান চালু হলে তাঁরা অনেক চিন্তামুক্ত হয়ে কাজ করতে পারবেন।
লালবাজার সূত্রের খবর, এই দু’টি গাড়ির জন্য খরচ হবে প্রায় ৯ কোটি টাকা। একটি বড় গাড়িকে শৌচাগার ও পোশাক বদলের গাড়ি হিসেবে তৈরি করা হবে। মহিলা পুলিশকর্মী থেকে সাধারণের জন্য আধুনিক সুযোগ-সুবিধা থাকবে সেখানে। প্রতিটি গাড়ির দেখভালের জন্য এক জন করে মহিলা পুলিশকর্মী থাকবেন বলে প্রাথমিক পরিকল্পনা রয়েছে লালবাজারের।