— প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
পথকুকুরের সংখ্যা বেড়েই চলেছে দিনদিন। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে কামড়ানোর ঘটনা। অথচ, নির্বিকার পুরসভা। গত বছর বার বারই এই অভিযোগ করছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এ বার পথকুকুরদের নির্বীজকরণে উদ্যোগী হয়েছে দক্ষিণ দমদম পুরসভা। লোকসভা নির্বাচনের দিন ঘোষণার ঠিক আগে পুরসভার বাজেটে এই খাতে ব্যয় বরাদ্দ করা হয়েছে। পুরসভা সূত্রের খবর, এপ্রিল থেকে কাজ শুরুর পরিকল্পনা আগেই করা হয়েছিল। সেই অনুসারেই কাজ হবে। এর পাশাপাশি পথকুকুর গণনারও পরিকল্পনা হয়েছে।
পুরকর্তারা অবশ্য জানিয়েছেন, নির্বীজকরণের নিজস্ব পরিকাঠামো তাঁদের নেই। কিছু এজেন্সি ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সাহায্যে কাজ করা হবে। যদিও স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের দাবি, কোনও সংগঠনকে দায়িত্ব দেওয়ার আগে সব দিক খতিয়ে দেখা দরকার। কারণ, অনেক ক্ষেত্রেই নির্বীজকরণ করতে গিয়ে অমানবিক ভাবে কুকুরদের ধরা হয়। গত কয়েক বছরে কুকুরে কামড়ানোর ঘটনা যেমন বেড়েছে, তেমনই কুকুরদের প্রতি অমানবিক আচরণও দেখতে পাওয়া গিয়েছে। সেটাও প্রশাসনকে ভাবতে হবে। পুরসভা সূত্রের খবর, গত অক্টোবর থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে প্রায় ৬০০ জনকে কুকুরের কামড়ের জেরে প্রতিষেধক নিতে হয়েছে। হাজারেরও বেশি কামড়ানোর ঘটনা ঘটেছে বলে খবর। বেসরকারি হিসাবে, পথকুকুরে কামড়ানোর ঘটনা গত কয়েক বছরে কয়েক হাজার ছাড়িয়েছে।
স্থানীয়দের একাংশের অভিযোগ, গত এক বছরে পথকুকুরের সংখ্যা অস্বাভাবিক রকম বেড়েছে। ব্যক্তিগত উদ্যোগে কেউ কেউ নির্বীজকরণের ব্যবস্থা করলেও প্রশাসনিক তৎপরতা দেখা যায়নি এত দিন। স্থানীয় বাসিন্দা সৌমেন বসুর মতে, রাতে সাইকেল কিংবা মোটরবাইক খুব সতর্ক ভাবে চালাতে হচ্ছে। কারণ, কুকুরেরা প্রায়ই দল বেঁধে তাড়া করে। প্রবীণদের ক্ষেত্রে সমস্যা আরও বেশি হয়।
সমস্যার কথা স্বীকার করে দক্ষিণ দমদম পুরসভার চেয়ারম্যান পারিষদ (স্বাস্থ্য) সঞ্জয় দাস জানান, কিছু অভ্যন্তরীণ কারণে নির্বীজকরণের কাজ করা যায়নি। খুব তাড়াতাড়িই কাজ শুরু হবে।