ফাইল চিত্র।
রবীন্দ্রসঙ্গীত বাজিয়ে বাড়ি থেকে আবর্জনা সংগ্রহের প্রকল্পটি আজ, বৃহস্পতিবার থেকে শুরু করছে হাওড়া পুরসভা। পাইলট প্রকল্প হিসেবে পূর্ব-নির্দিষ্ট ২২ নম্বর ওয়ার্ডেই আনুষ্ঠানিক ভাবে ওই কাজের সূচনা করবেন রাজ্যের সমবায়মন্ত্রী তথা মধ্য হাওড়ার বিধায়ক অরূপ রায়। বুধবার হাওড়ার পুর কমিশনার বিজিন কৃষ্ণ জানিয়েছেন, আগামী দিনে বাকি ৬৫টি ওয়ার্ডে প্রকল্পটি চালু করার জন্য বিস্তারিত প্রকল্প রিপোর্ট তৈরি করা হচ্ছে। তিনি জানান, কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে কী ভাবে জৈব সার উৎপাদন করা যায় এবং তার জন্য কত জন কর্মী এবং কতগুলি বিশেষ ভাবে তৈরি ই-রিকশা লাগবে, ওই প্রকল্প রিপোর্টে তা বলা থাকবে।
গত মাসে হাওড়া পুরসভা সিদ্ধান্ত নেয়, ভাগাড়ে আবর্জনা না ফেলে বাসিন্দাদের দিয়েই পচনশীল এবং অপচনশীল আবর্জনা আলাদা করিয়ে বাড়ি থেকে তা সংগ্রহ করা হবে। আবর্জনা সংগ্রহের কাজে নামানো হবে বিশেষ ভাবে তৈরি পরিবেশবান্ধব ই-রিকশা। পরে ওই জঞ্জাল ফেলা হবে আবর্জনা থেকে সার তৈরির যন্ত্রে। এর জন্য প্রথমে মডেল হিসেবে ২২ নম্বর ওয়ার্ডকেই চিহ্নিত করা হয়।
এ দিন হাওড়ার পুর কমিশনার জানান, এই কাজের জন্য আগেই ২৫২টি ই-রিকশার বরাত দেওয়া হয়েছিল। যার মধ্যে ২০টি গাড়ি এসে গিয়েছে। সেগুলির সঙ্গে থাকছে হাতগাড়ি ও ভ্যানরিকশা। পুর কমিশনার জানান, ইতিমধ্যেই ওই ওয়ার্ডের পাঁচ হাজার বাড়ির জন্য ১০ হাজার বিন এসে গিয়েছে। আজ বাসিন্দাদের হাতে সেই বিন তুলে দেওয়া হবে। পুর কমিশনার বলেন, ‘‘গত কয়েক মাস ধরে ওই ওয়ার্ডে সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য থেকে সার তৈরির বিষয়টি বোঝানো হয়েছে।’’
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, যে সমস্ত ই-রিকশায় আবর্জনা তোলা হবে, সেগুলিতে গান বাজানোর জন্য সাউন্ড সিস্টেম লাগানোর কাজ চলছে। ব্যাটারিচালিত গাড়িগুলি রিচার্জ করার জন্য কয়েকটি চার্জিং স্টেশনও তৈরি হয়েছে। পুরসভা জানিয়েছে, রাষ্ট্রপুঞ্জের তরফে ইতিমধ্যেই আবর্জনা থেকে সার তৈরির একটি যন্ত্র ইস্ট-ওয়েস্ট বাইপাসে বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। আগামী দিনে আরও একটি যন্ত্র বসবে, যা আশপাশের আরও তিনটি ওয়ার্ড থেকে আবর্জনা নিয়ে সার তৈরি করতে পারবে।