—প্রতীকী চিত্র।
শ্বশুরবাড়িতে সিঁধ কেটে শ্রীঘরে গেলেন জামাই। গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁর শাগরেদকেও। উদ্ধার করা হয়েছে চুরি যাওয়া সামগ্রী। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত দু’জনের নাম রাঘব সরাফ এবং শামিম আখতার। ঘটনাটি ঘটেছে হেস্টিংস থানা এলাকায়।
পুলিশ জানিয়েছে, দিন দুয়েক আগে হেস্টিংস থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন বিনীতা কেশরী নামে এক মহিলা। লিখিত অভিযোগে তিনি জানান, শুক্র এবং শনিবার বিকেলে তিনি বাড়িতে ছিলেন না। বাড়ি ফিরে দেখেন, তাঁর ঘরের আলমারি থেকে উধাও হয়েছে প্রায় দেড় কোটি টাকার গয়না এবং নগদ সাড়ে চার লক্ষ টাকা।
ঘটনার তদন্তে নেমে হেস্টিংস থানার পুলিশ প্রাথমিক ভাবে বাড়ির সামনের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করে। যদিও পরিচিত ছাড়া কাউকেই বাড়ি থেকে বেরোতে অথবা ঢুকতে দেখা যায়নি। সেখানেই সন্দেহ হয় পুলিশের। এর পরেই বাড়ির পরিচারিকা থেকে শুরু করে সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা প্রত্যেককে জিজ্ঞাসাবাদ করেন তদন্তকারীরা। জিজ্ঞাসাবাদের দলে ছিলেন বাড়ির জামাই রাঘবও। তাঁর বক্তব্যে বেশ কিছু অসঙ্গতি ধরা পড়ে। এর পর তাঁকে দীর্ঘক্ষণ জেরা করতেই সামনে আসে গোটা ঘটনা।
তদন্তে জানা গিয়েছে, ২ এবং ৩ ফেব্রুয়ারির বিকেলে শ্বশুরবাড়িতে কেউ না থাকার কথা জানতেন জামাই। এমনকি বাড়ির গোপন জিনিস কোথায় থাকে, তা-ও তাঁর নখদর্পণে ছিল। কেউ বাড়িতে না থাকার সুযোগেই শ্বশুরবাড়িতে ঢুকে কোটি টাকার সামগ্রী হাতিয়ে নেন রাঘব। জিজ্ঞাসাবাদে বিষয়টি খোলসা হতেই জামাইকে গ্রেফতার করা হয়।
রাঘবকে জেরা করে তাঁর দোকানের কর্মী শামিমকেও গ্রেফতার করা হয়। ধৃত জামাইয়ের
বাড়ি থেকেই চুরি যাওয়া দেড় কোটি টাকার গয়না ও টাকা উদ্ধার হয়েছে। এই ঘটনায় আরও কেউ জড়িত কি না, দেখছে পুলিশ। তদন্তকারী এক আধিকারিক বলেন, ‘‘প্রথমেই সন্দেহভাজন কিছু না মেলায় সর্ষের মধ্যে যে ভূত রয়েছে তা প্রাথমিক ভাবে স্পষ্ট হয়। এর পরেই বাড়ির সকলকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করা হয়। সেই সূত্রেই বেরিয়ে আসে আসল ঘটনা। এর পরেই জামাইকে গ্রেফতার করা হয়।’’