— প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
চিকিৎসক দিবস উপলক্ষে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ তাদের অধীনস্থ স্কুলগুলিতে অর্ধদিবস ছুটি দেয়নি। তা সত্ত্বেও প্রতি বছরের মতো বেশ কয়েকটি স্কুলে সোমবার অর্ধদিবস ছুটি থাকল চিকিৎসক দিবস উপলক্ষে। অথচ, অর্থ দফতরও তার বিজ্ঞপ্তিতে সরকারি অফিসে অর্ধদিবস ছুটি থাকার কথা বললেও স্কুলে ছুটির কথা বলেনি। সে ক্ষেত্রে এ ভাবে অর্ধদিবস ছুটি দেওয়ায় পড়ুয়াদের পঠনপাঠন ক্ষতিগ্রস্ত হল বলে প্রশ্নও তুলেছেন অনেকে। তাঁদের মতে, এক দিকে স্কুলগুলিতে টানা গরমের ছুটি বা ভোট উপলক্ষে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকার কারণে টানা ছুটিতে পড়ুয়াদের পঠনপাঠন ব্যাহত হচ্ছে। সেখানে পর্ষদ স্কুল ছুটি না দেওয়া সত্ত্বেও কী ভাবে অর্ধদিবস ছুটি থাকল?
গত ২৬ জুন অর্থ দফতর চিকিৎসক দিবস উপলক্ষে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। ওই দিন সরকারি অফিসে দুপুর ২টোর পরে ছুটি হওয়ার কথা বলে তারা। তবে স্কুলগুলি ছুটি থাকার কথা কিছু উল্লেখ করা হয়নি। শিক্ষকদের একাংশ জানাচ্ছেন, সাধারণত অর্থ দফতর ছুটি সংক্রান্ত কোনও বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করলে মধ্যশিক্ষা পর্ষদও একই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। মধ্যশিক্ষা পর্ষদের এক কর্তা বলেন, ‘‘কিছু দিন আগে জামাইষষ্ঠী উপলক্ষে যে ছুটির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছিল অর্থ দফতর, সেখানে কিন্তু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কথা উল্লেখ ছিল। কিন্তু গত ২৬ জুনের ওই বিজ্ঞপ্তিতে সরকারি দফতরের কথা বললেও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কথা উল্লেখ করা হয়নি। তাই আমরাও ছুটির বিজ্ঞপ্তি দিইনি।’’
সল্টলেকের এপিসি হাইস্কুল ফর বয়েজের প্রধান শিক্ষিকা ডরোথি রুদ্র বলেন, ‘‘স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সঙ্গে কথা বলে পড়ুয়াদের মিড-ডে মিল খাইয়ে দিনের প্রথম ভাগের পরে ছুটি দিয়েছি।’’ ভগবতী দেবী বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা প্রতিভা পোদ্দার বলেন, ‘‘আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেই স্কুলে অর্ধদিবস ছুটি দিয়েছি।’’
দমদম সুভাষনগর হাইস্কুলের (এইচএস) সহকারী প্রধান শিক্ষক সাইদুল ইসলাম বলেন, ‘‘আমাদের স্কুল পুরো হয়েছে। তবে আমাদের প্রশ্ন, জেলা স্কুল পরিদর্শকের অফিস অর্ধদিবস ছুটি, মধ্যশিক্ষা পর্ষদ অর্ধদিবস ছুটি হলে, আমাদের কেন থাকবে না? আমরা তো সরকারি প্রতিষ্ঠানের মধ্যেই পড়ি। অর্থ দফতর কোনও ছুটির কথা বললে সাধারণত আমরাও তার আওতায় পড়ে যাই। এ বার কেন তার ব্যতিক্রম হল?’’ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘‘পর্ষদ কোনও ছুটি দেয়নি। তবু কয়েকটি স্কুল কেন ছুটি দিল, সেটা দেখা হবে।’’