attack

বাড়ির সামনে মদের আড্ডা, প্রতিবাদ করায় ঘরে ঢুকে ‘মার’

পুলিশের একাংশের দাবি, ঘটনাটি একটি পরিবারের মধ্যে দু’পক্ষের পুরনো গোলমালের জেরে ঘটেছে বলেই তারা জেনেছে। অভিযোগকারী এবং অভিযুক্তেরা পরস্পরের পরিচিত।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৯ জুলাই ২০২৪ ০৬:০২
Share:

—প্রতীকী ছবি।

বাড়ির সামনে মদের আসর বসানোর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় ঘরে ঢুকে তাণ্ডব চালানোর অভিযোগ উঠল। প্রতিবাদী ও তাঁর পরিবারের লোকজনকে মারধর করা হয়েছে বলেও অভিযোগ। এমনকি, রেহাই পায়নি পরিবারের একটি শিশুও। এই ঘটনায় রাজারহাট থানার পুলিশ সঞ্জয় মুখোপাধ্যায় নামের এক যুবককে গ্রেফতার করেছে। হামলার পিছনে এক প্রাক্তন ফুটবলার তথা স্থানীয় তৃণমূল নেতার আত্মীয় ও অনুগামীরা রয়েছেন বলেই অভিযোগ ওই পরিবারের।

Advertisement

ঘটনাটি ঘটেছে রাজারহাটের ভাতুরিয়া এলাকায়। সেখানে থাকে চক্রবর্তী পরিবার। সেই পরিবারের সদস্য কুশল চক্রবর্তী জানান, সে দিন তিনি কর্মস্থল থেকে ফিরছিলেন। সেই সময়ে দেখেন, তাঁদের বাড়ি ও দোকানের সামনে মদের আড্ডা বসেছে। কুশলের দাবি, ‘‘আমরা প্রতিবাদ করতেই ওরা আমাদের উপরে চড়াও হয়। মেরে আমার মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়। আমার বৌদির সঙ্গে অভব্য আচরণ করা হয়েছে। মারধর করা হয় বৃদ্ধা মাকে। পরিবারের একটি বাচ্চাকেও মারধর করা হয়।’’ ঘটনার পরে রাতেই তাঁরা থানায় যান। সারা রাত সেখানে বসে ছিলেন। রাজারহাটের রেকজোয়ানি হাসপাতালে তাঁদের মেডিক্যাল পরীক্ষা হয়। কুশল-সহ প্রত্যেকেরই মাথায় আঘাত লেগেছে। কুশলের অভিযোগ, তাঁর হাতও ভেঙে দেওয়া হয়েছে।

কুশল জানান, তাঁদের বাড়ির সামনে রাস্তায় বসে মদ্যপান করছিল কয়েক জন যুবক। সেই সঙ্গে চেঁচামেচিও করছিল তারা। আক্রান্ত পরিবারের সদস্য পাপিয়া চক্রবর্তী বলেন, ‘‘যারা এই সব কাণ্ড করল, থানায় অভিযোগ করায় তারাই পাল্টা আমাদের ঘরছাড়া করার হুমকি দিচ্ছে।’’ এই ঘটনা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে প্রাক্তন ওই ফুটবলার তথা তৃণমূল নেতা বলেন, ‘‘আমার যে আত্মীয়ের নামে অভিযোগ করা হয়েছে, তাঁর সঙ্গে আমাদের অনেক দিন যোগাযোগ নেই। তিনি হাড়োয়ার বাসিন্দা। পুলিশ তদন্ত করে দেখতেই পারে। আমরা এই ধরনের ঘটনায় যুক্ত নই।’’

Advertisement

পুলিশের একাংশের দাবি, ঘটনাটি একটি পরিবারের মধ্যে দু’পক্ষের পুরনো গোলমালের জেরে ঘটেছে বলেই তারা জেনেছে। অভিযোগকারী এবং অভিযুক্তেরা পরস্পরের পরিচিত। এই ঘটনার পিছনে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর টানাপড়েন থাকতে পারে বলেও মনে করা হচ্ছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement