প্রতীকী ছবি
করোনার এই পরিস্থিতিতে দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা আদৌ হবে কি না, সে বিষয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্তে আসতে পারেনি সিবিএসই বোর্ড। এই অবস্থায় শহরের কিছু স্কুল আরও এক বার অনলাইন টেস্টের আয়োজন করছে। ওই সমস্ত স্কুলের অধ্যক্ষদের মতে, পরীক্ষা হবে কি না, এখনও তার কোনও নিশ্চয়তা নেই। পড়ুয়ারা বাড়িতেই বসে রয়েছে। এমন অনিশ্চিত পরিস্থিতিতে
তারা যাতে হতোদ্যম না-হয়ে পড়াশোনা চালিয়ে যায়, তার জন্যই আর এক বার অনলাইন টেস্টের আয়োজন করা হচ্ছে।
শ্রীশিক্ষায়তনের মহাসচিব ব্রততী ভট্টাচার্য যেমন জানালেন, তাঁদের স্কুলে দিন কয়েকের মধ্যেই দ্বাদশ শ্রেণির এ বারের পরীক্ষার্থীদের পুনরায় অনলাইন টেস্ট নেওয়া হবে। ব্রততীদেবী বলেন, “করোনার সংক্রমণ না কমলে পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব নয়। এর পরে আবার তৃতীয় ঢেউয়ের কথাও শোনা যাচ্ছে। পরীক্ষার্থীরা অনেকেই জানিয়েছে, তাদের হতাশা গ্রাস করছে। অনেকেই পড়াশোনায় মন বসাতে পারছে না।” ব্রততীদেবীর মতে, ফের এক বার অনলাইন পরীক্ষা নিলে প্রস্তুতিও ঝালিয়ে নেওয়া যাবে। তাঁদের অনলাইন পরীক্ষা হবে বোর্ডের দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষার মতোই। ব্রততীদেবী বলেন, “পরীক্ষার্থীরা সকলে এখন বাড়িতেই রয়েছে। তাই দিন কয়েকের মধ্যে পরীক্ষা নিতে কোনও অসুবিধা নেই।”
সিবিএসই বোর্ড পরিচালিত বিড়লা হাইস্কুলের অধ্যক্ষ লাভলিন সায়গল জানান, তাঁদের স্কুলেও অনলাইন টেস্ট নেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। লাভলিন বলেন, “আমাদের স্কুলের পরীক্ষার্থীরা যাতে প্রস্তুতি চালিয়ে যেতে পারে, তার জন্যই আর এক বার অনলাইন পরীক্ষা নেওয়া হবে।”
তবে, বর্তমানে করোনার যা পরিস্থিতি, তাতে বাড়িতে বসে অনলাইন পরীক্ষা দেওয়ার মতো মানসিকতা পরীক্ষার্থীদের রয়েছে কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন কেউ কেউ। কয়েকটি স্কুলের অধ্যক্ষদের মতে, খোঁজ নিলে হয়তো জানা যাবে, পরীক্ষার্থীদের অনেকের বাড়িতেই করোনা রোগী রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ গুরুতর অসুস্থও হতে পারেন। এই অবস্থায় ফের অনলাইন পরীক্ষা দেওয়ার মতো মানসিক অবস্থা সেই পরীক্ষার্থীর না-ও থাকতে পারে।