আরম্ভ: সেজে উঠেছে বাগবাজারের নিবেদিতা সংগ্রহশালা। (ডান দিকে) সেটির উদ্বোধন করছেন লক্ষ্মী কুমারী। রবিবার। ছবি: বিশ্বনাথ বণিক
দীর্ঘ অপেক্ষার পরে বাগবাজারে নিবেদিতা হেরিটেজ সংগ্রহশালার দ্বারোদ্ঘাটন হল। রবিবার ‘বিবেকানন্দ কেন্দ্র বৈদিক ভিশন ফাউন্ডেশন’-এর ডিরেক্টর লক্ষ্মী কুমারী সেটির উদ্বোধন করেন।
আগামী ২০ মার্চ থেকে প্রতি সপ্তাহের শুক্র, শনি ও রবিবার ওই সংগ্রহশালাটি সাধারণের জন্য খোলা থাকার কথা ছিল। কিন্তু করোনাভাইরাস নিয়ে সতর্কতায় আপাতত আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত তা স্থগিত রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন রামকৃষ্ণ সারদা মিশন কর্তৃপক্ষ। সঙ্ঘের প্রবীণ সন্ন্যাসিনী প্রব্রাজিকা অশেষপ্রাণা বলেন, ‘‘বর্তমান পরিস্থিতির কথা ভেবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সংগ্রহশালার দ্বারোদ্ঘাটন উপলক্ষে ১৭ মার্চ যে অনুষ্ঠান ছিল, তা-ও বাতিল হয়েছে।’’
এ দিন সকালে রামকৃষ্ণ সারদা মিশনের প্রবীণ সন্ন্যাসিনীদের উপস্থিতিতে ১৬, বোসপাড়া লেনে নিবেদিতার বাড়িতে প্রদীপ জ্বালিয়ে সংগ্রহশালার দ্বারোদ্ঘাটন করেন লক্ষ্মী কুমারী। এর পরেই গিরিশ মঞ্চে
অন্যান্য অনুষ্ঠান হয়। সেখানে ভগিনী নিবেদিতার জীবন ও কর্মকাণ্ডের ছবি এবং লেখা-সহ ‘ওয়ান বার্নিং লাভ’ এবং ‘সিস্টার ক্রিস্টিনের ডায়েরি’— এই দু’টি বই প্রকাশ করেন রামকৃষ্ণ সারদা মিশনের সহ সম্পাদক প্রব্রাজিকা জ্ঞানদাপ্রাণা। নিবেদিতাকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলতেন ‘লোকমাতা’, ঋষি অরবিন্দের সম্বোধনে তিনি ‘অগ্নিশিখা’ আর স্বামী বিবেকানন্দ তাঁকে বলেছিলেন, ‘তোমার মধ্যে এক জগৎ আলোড়নকারী শক্তি আছে’।— এই সমস্ত বিষয় এবং বাংলার নবজাগরণ, মেয়েদের শিক্ষাপ্রসারে ভগিনী নিবেদিতার অবদান তুলে ধরেন বিভিন্ন বক্তা।
অনুষ্ঠানে লক্ষ্মী কুমারী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন গুন্টুর রামকৃষ্ণ সারদা মিশনের সম্পাদক প্রব্রাজিকা ভবানীপ্রাণা, সিরিটি রামকৃষ্ণ সারদা মিশনের সহ-সম্পাদক প্রব্রাজিকা নির্ভীকপ্রাণা, ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের সংরক্ষণ বিভাগের প্রাক্তন প্রধান অরুণ ঘোষ। অনুষ্ঠানে নিবেদিতা সংগ্রহশালার তথ্যচিত্র দেখানো হয়।