অধ্যক্ষকে শো-কজের চিঠি

বর্তমান অধ্যক্ষ পদে বসার পর থেকেই নানা বিতর্কে বিদ্ধ হয়েছে চারুচন্দ্র কলেজ। ভর্তিতে দুর্নীতি এবং তাতে অধ্যক্ষের সরাসরি মদত দেওয়ার অভিযোগের পাশাপাশি শিক্ষিকাদের হেনস্থার অভিযোগও উঠেছে সত্রাজিৎবাবুর বিরুদ্ধে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১০ অগস্ট ২০১৮ ০০:২২
Share:

ফাইল চিত্র

চরম অচলাবস্থা দক্ষিণ কলকাতার চারুচন্দ্র কলেজে। গত সপ্তাহেই কলেজের আর্থিক বিষয় নিয়ে পরিচালন সমিতির সঙ্গে অধ্যক্ষের বিবাদ চরমে পৌঁছয়। এ বার অধ্যক্ষ সত্রাজিৎ ঘোষকে শো-কজ চিঠি ধরালেন পরিচালন সমিতির সভাপতি শিবরঞ্জন চট্টোপাধ্যায়। চিঠিতে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ওঠা একাধিক গুরুতর অভিযোগ উল্লেখ করে লেখা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি অনুযায়ী অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে কেন কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, তা জানাতে হবে সাত দিনের মধ্যে। গোটা বিষয়টিকে চক্রান্ত বলে পদ ছাড়ার হুমকি দিয়েছেন সত্রাজিৎবাবু।

Advertisement

বর্তমান অধ্যক্ষ পদে বসার পর থেকেই নানা বিতর্কে বিদ্ধ হয়েছে চারুচন্দ্র কলেজ। ভর্তিতে দুর্নীতি এবং তাতে অধ্যক্ষের সরাসরি মদত দেওয়ার অভিযোগের পাশাপাশি শিক্ষিকাদের হেনস্থার অভিযোগও উঠেছে সত্রাজিৎবাবুর বিরুদ্ধে। গত সপ্তাহেই পরিচালন সমিতির সভাপতি অধ্যক্ষকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছিলেন, যে কোনও খরচের আগে ফিনান্স সাব-কমিটি থেকে তা পাশ করিয়ে নিতে হবে। যদিও সত্রাজিৎবাবু তা মানতে রাজি না হওয়ায় এমনিতেই আর্থিক জটিলতা চলছে কলেজে। পড়ুয়াদের দাবি, ‘‘এ সবের ফলে পড়াশোনার পরিবেশই লাটে উঠেছে।’’

সূত্রের খবর, গত ১৯ জানুয়ারির পরিচালন সমিতির বৈঠকে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ‘ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি’ তৈরি হয়। সম্প্রতি ওই কমিটি পরিচালন সমিতির সভাপতিকে রিপোর্ট দেয়। ৩০ জুলাই পরিচালন সমিতির বৈঠকে রিপোর্ট পেশ করেন সভাপতি। কমিটির ২১ দফা অভিযোগের মধ্যে রয়েছে, পরিচালন সমিতির কোনও সিদ্ধান্তই মানেন না সত্রাজিৎবাবু। খেলার ‘কোটা’য় এমন কয়েক জনকে তিনি ভর্তি করিয়েছেন যাঁদের কেউই কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের হয়ে কোনও খেলায় কখনও প্রতিনিধিত্ব করেননি। এমনকি পরিচালন সমিতিকে না জানিয়েই ওই পড়ুয়াদের ভর্তির টাকায় ছাড় দেওয়া হয়েছে। আরও অভিযোগ, পড়ুয়া ও শিক্ষাকর্মীদের পাশাপাশি শিক্ষিকাদেরও হেনস্থা করেন সত্রাজিৎবাবু। কমিটির দাবি, সত্রাজিৎবাবু দায়িত্বে থাকাকালীন কলেজের কোনও উন্নতি হয়নি। উল্টে, কলেজের তহবিল থেকে ব্যক্তিগত ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে তিনি দু’লক্ষ টাকা সরিয়েছেন।

Advertisement

শিবরঞ্জনবাবু বলেন, ‘‘কলেজে সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনাই আমার মূল কাজ। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি অনুযায়ী যা ব্যবস্থা নেওয়ার তা-ই নেব। শো-কজ চিঠিও পাঠানো হয়েছে বিধি মেনে।’’ সত্রাজিৎবাবু বলেন, ‘‘ওই পরিচালন সমিতিই বেআইনি। এ ভাবে চলতে থাকলে আমি চাকরি ছেড়ে দেব। মানসিক চাপের মধ্যে ফেলা হচ্ছে আমায়। কিছু ঘটে গেলে তার দায় কিন্তু ওঁদের।’’ দ্রুত এ ব্যাপারে সাংবাদিক বৈঠক ডাকার কথাও জানিয়ে রেখেছেন অধ্যক্ষ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement