—ফাইল চিত্র।
হরিণঘাটা থেকে মুরগির মাংসের সরবরাহে ঘাটতি দেখা দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। হরিণঘাটার মাংস বিপণি গুলিতে বিভিন্ন ধরনের মুরগির মাংস কিনতে এসে ঘুরে যাচ্ছেন ক্রেতারা। সল্টলেক সহ বিভিন্ন এলাকায় হরিণঘাটার বিপণি রয়েছে। সেখানেই অমিল হরিণঘাটার সরকারি মুরগির মাংস।
সল্টলেকের সেক্টর-১ এলাকার এ-ই ব্লকে হরিণঘাটার একটি স্টল রয়েছে। মালিক অভিজিৎ রাহা জানান, তিনি এক সপ্তাহ ধরে হরিণঘাটার মুরগির মাংস পাচ্ছেন না। অভিজিৎবাবুর কথায়, ‘‘প্রি-কাট চিকেন, ড্রামস্টিক, বোনলেস চিকেন অমিল হয়ে গিয়েছে। সাত দিন ধরে সমস্যা চলছে। পরিস্থিতি কবে ঠিক হবে তা বলতে পারছেন না কর্তৃপক্ষ।’’
অভিজিৎবাবু আরও জানান, প্রতিদিন স্টলে ক্রেতারা এসে ঘুরে যাচ্ছেন। লোকসান হচ্ছে। সোমবার ৩০ কিলো চিকেন সরবরাহের জন্য হরিণঘাটা কতৃর্পক্ষের কাছে অর্ডার দেওয়া হয়। মাত্র ১০ কিলো চিকেন সরবরাহ করেছে। ক্রেতা জিনিস না পেয়ে ঘুরে গেলে বিক্রি কমে যাচ্ছে। শুধু সল্টলেকই নয় হরিণঘাটার অন্যান্য বিপণিতে একই অবস্থা।
রাজ্যের প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন নিগম সূত্রে খবর, হঠাৎ করেই কিছু দিন ধরে খামারগুলো থেকে মুরগির জোগানে কিছুটা ঘাটতি দেখা দিয়েছে। সেই সঙ্গে বিয়ের মরসুমে হরিণঘাটার মুরগির মাংসের চাহিদা বাড়ায় কিছুটা সমস্যা দেখা দিয়েছে। নিগমের দাবি, দ্রুত সমস্যা মিটে যাবে। নিগমের এক কর্তা জানান, কলকাতায় এই মুহূর্তে নিগমের ৫০টির উপর বিপণি রয়েছে যেগুলি বেসরকারি সংস্থা চালায়। নিগমের নিজস্ব বিপণি রয়েছে ১২টির মতো। এই বিপণিগুলিতে সারা বছরই মুরগির মাংসের চাহিদা থাকে।