বন্ধের পর খুলল নিউ মার্কেট। শনিবার। —নিজস্ব চিত্র।
মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণায় হকারেরা খুশি হলেও, ব্যবসায়ীরা নন। মুখ্যমন্ত্রীর নয়া হকার নীতির বিরোধিতা করে ফের আন্দোলনের কর্মসূচি গ্রহণের পরিকল্পনা করেছেন নিউ মার্কেট-সহ আশপাশের ১১টি বাজারের ব্যবসায়ীরা। প্রয়োজনে রাজ্যের অন্যান্য ব্যবসায়ী সংগঠনও এই কর্মসূচিতে যোগ দেবে বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
শনিবার জয়েন্ট ট্রেডার্স ফেডারেশনের যুগ্ম সম্পাদক উদয়শঙ্কর সাউ বলেন, “হকারদের দৌরাত্ম্যের প্রতিবাদেই নিউ মার্কেট এলাকায় তিন দিনের বন্ধ ডেকেছিলাম। তবে মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষিত হকার-নীতিতে সমস্যা সমাধানের বদলে আরও বাড়বে। আমাদের সংগঠনের প্রতিনিধিরা একসঙ্গে বসে সমস্যা মেটাতে দ্রুত কর্মসূচি নেওয়ার পরিকল্পনা করেছি। রাজ্যের অন্যান্য ব্যবসায়ী সংগঠনকেও ডাকব।”
অন্য দিকে, তিন দিন পরে খুলল নিউ মার্কেট এবং আশপাশের সব বাজার। তালতলার এক বাসিন্দা শেখ আনোয়ার বলেন, “গড়িয়ায় আমার মুরগির দোকান আছে। রোজই নিউ মার্কেট থেকে পাইকারি দরে মুরগি কিনি। তিন দিন বাজার বন্ধ থাকায় সমস্যায় পড়েছিলাম।”
এস এস হগ মার্কেট ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অশোককুমার গুপ্ত বলেন, “বন্ধে ক্রেতাদের পাশাপাশি অসুবিধায় পড়েছেন বিক্রেতারাও। হকারেরা নিয়ম না মেনে রাস্তা জুড়ে বসায় আমাদের ব্যবসায় ক্ষতি হচ্ছে। প্রতিবাদ ছাড়া কোনও উপায় ছিল না। তবে, এই সমস্যার সমাধান হয়নি।” ব্যবসায়ী সংগঠন সূত্রে খবর, শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত প্রায় হাজার দশেক ক্রেতা ভিড় জমান নিউ মার্কেটে। কয়েকদিন বন্ধ থাকায় ভিড় অপেক্ষাকৃত বেশি বলে জানান ব্যবসায়ী সংগঠনের প্রতিনিধিরা।
শনিবারও দেখা যায়, নিউ মার্কেটের সামনে রাস্তার বেশির ভাগ অংশ জুড়ে ছিলেন হকারেরা। দু’একটি জায়গায় হকার না থাকলেও, তাঁরা যে ডালা ব্যবহার করেন সেগুলি রয়েছে। ফলে পার্কিং পেতে সমস্যা রয়েই গিয়েছে। অন্য দিকে, ওই এলাকার হকারদের বক্তব্য, মুখ্যমন্ত্রীর নয়া নীতিতে খুশি তাঁরা। নিয়ম মেনে রাস্তার একাংশে বসে ব্যবসা করা হয়। অনেকে অমান্য করে ঠিকই। সে নিয়ে আমরা সচেতন।