কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। —ফাইল চিত্র।
সিমেস্টার পরীক্ষার আগে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিষয়ের পড়ুয়াদের পাঠ্যসূচি বোঝানোর উদ্যোগ নিয়েছে ছাত্র সংগঠন এসএফআই। তবে এই ‘অল্টারনেটিভ ক্লাসরুম’ তৈরির উদ্যোগকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে মনে করছেন অন্তর্বর্তী উপাচার্য
শান্তা দত্ত দে।
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের এসএফআই নেতা মাল্যবান গঙ্গোপাধ্যায় জানালেন, এই বিকল্প ক্লাসরুমে তাঁরা খুব ভাল সাড়া পাচ্ছেন। বিভাগীয় সিনিয়র মেধাবী পড়ুয়ারা জুনিয়রদের গ্রুপ ডিসকাশন, ইন্টারঅ্যাকটিভ সেশনের মাধ্যমে পাঠ্যসূচি নিয়ে কোনও ধন্ধ থাকলে তা পরিষ্কার করে দিচ্ছেন। তাঁর বক্তব্য, বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকের সংখ্যা যথেষ্ট নয়। কিন্তু তা-ও শিক্ষকেরা চেষ্টা করছেন। কিন্তু ভর্তির কয়েক মাসের মধ্যে পরীক্ষায় বসতে গিয়ে দেখা যাচ্ছে, অনেকেরই যথাযথ শেখা হয়নি। ক্লাসের সংখ্যাও কম হচ্ছে। এমনকি, এক বিষয়ের পরীক্ষার জন্য অন্য বিষয়ের ক্লাসরুম নিয়ে নেওয়া হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে অন্তর্বর্তী উপাচার্য এ দিন বলেন, ‘‘শিক্ষকের সংখ্যা অপ্রতুল, এটা সত্যি। নতুন নিয়োগের চেষ্টা চলছে। তবে যে শিক্ষকেরা রয়েছেন, তাঁরা আপ্রাণ চেষ্টা করছেন। জুনিয়রেরা সিনিয়রদের কাছে শিখবে, এ তো খুব ভাল কথা। কিন্তু যে ভাবে এরা বিষয়টি প্রচার করছে, তাতে বোঝা যাচ্ছে, এই উদ্যোগের পেছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য রয়েছে।’’ তবে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির (কুটা) সাধারণ সম্পাদক সনাতন চট্টোপাধ্যায়ের বক্তব্য, ‘‘শিক্ষকেরা শিক্ষকদের মতো পড়াচ্ছেন। পড়ুয়ারা যদি আলাদা ভাবে কোনও উদ্যোগ নেয়, তাতে আপত্তির কিছু নেই।’’