এই সুড়ঙ্গেরই হদিস মিলেছে প্রমোদ সিংহানিয়ার ঘরে। শুক্রবার, বড়বাজারে। —নিজস্ব চিত্র।
ঘিঞ্জি গলির ভিতরে কয়েকতলা বাড়ি। ভিতরে ঢুকলেই দুর্গন্ধ ভেসে আসছে। দোতলায় উঠতেই নজরে এল প্লাইউড দিয়ে তৈরি খুপরি খুপরি ঘর। তার পাশেই একটি ঘরের ভিতরে রয়েছে একটি সুড়ঙ্গ। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, বড়বাজার অঞ্চলে এমনই একটি খুপরি ঘরে চাকরি দেওয়ার নাম করে মহিলাদের দিয়ে যৌন ব্যবসা চালাতেন বা়ড়ির মালিক প্রমোদ সিংহানিয়া। গত ২৫ ডিসেম্বর এই কীর্তি ফাঁস হওয়ার পর থেকেই তিনি উধাও বলে অভিযোগ। তাঁর বিরুদ্ধে বড়বাজার থানায় অভিযোগ জানিয়ে স্মারকলিপিও দেওয়া হয়েছে বলে শুক্রবার জানালেন স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ।
পুলিশ সূত্রে এই অভিযোগের কথা স্বীকার করা হয়েছে। লালবাজারের একটি সূত্রে বলা হয়েছে, প্রমোদের বিরুদ্ধে এর আগেও একাধিক অভিযোগ মিলেছে। শ্লীলতাহানির ঘটনায় তাঁকে গ্রেফতারও করা হয়েছিল। সত্যিই চাকরি দেওয়ার নাম করে মহিলাদের যৌন ব্যবসায় নামানো হত কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বাড়ির ভিতরে প্রমোদ বেআইনি নির্মাণ করেছেন, তাও মেনে নিয়েছে পুলিশ। স্থানীয়দের একটি সূত্রের দাবি, প্রমোদের বিরুদ্ধে থানা বেআইনি ও বিপজ্জনক নির্মাণের অভিযোগ দায়ের করে পুরসভাকে দিয়ে বাড়িটি পরীক্ষাও করানো হয়েছে। বেআইনি নির্মাণের অংশ ভাঙাও হতে পারে।
আরও পড়ুন: নিখরচার ওষুধে জব্বর কোপ
পুলিশের তরফে প্রাথমিক তদন্তের পরে অবশ্য এই গোটা ঘটনায় আরও একটি দিক উঠে এসেছে। তা হল ওই বাড়ির দখলদারি। লালবাজার ও স্থানীয়দের একটি সূত্র জানাচ্ছে, প্রমোদের হাত থেকে ওই বা়ড়ির দখল নিতে একাংশ সক্রিয়। অভিযোগ অনুযায়ী, দীর্ঘ দিন ধরে প্রমোদ যৌন ব্যবসা চালালেও কেন এত দিন অভিযোগ ওঠেনি, সেই প্রশ্নের কোনও সদুত্তর অভিযোগকারীদের কাছে পাননি তদন্তকারীরা। ওই ঘর থেকে পাওয়া প্রমোদের দু’টি ফোন নম্বরে যোগাযোগ করা হয়েছিল। কিন্তু একটি ফোন বন্ধ এবং অন্যটিতে এক মহিলা ধরে জানান, সেটি প্রমোদের নম্বর নয়।