Crime

মেয়েকে লাগাতার যৌন হেনস্থা, জেল বাবার

মামলার সরকারি আইনজীবী তপন রায় জানান, নির্যাতিতা কিশোরীর বাবা কেটারিং সার্ভিসের কাজ করত। তার স্ত্রী পরিচারিকার কাজ করেন। ওই দম্পতির এক নাবালক ছেলেও রয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৯:৫৮
Share:

স্ত্রী এবং নাবালক ছেলের অনুপস্থিতিতে বাড়িতে নিজেরই ১৬ বছরের মেয়েকে দীর্ঘ দিন ধরেযৌন হেনস্থা করেছিল এক ব্যক্তি। তপসিয়া থানা এলাকার সেই ভয়াবহ ঘটনায় বাবাকে দোষী সাব্যস্ত করে সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিল শিয়ালদহের বিশেষ পকসো আদালত। সেই সঙ্গে ওই ব্যক্তিকে দেড় লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। সেই জরিমানার টাকা অনাদায়ে আরও ১০ মাস কারাদণ্ডের নির্দেশ হয়েছে বলে খবর। বৃহস্পতিবার এই সাজা শুনিয়েছেন বিচারক অনির্বাণ দাস। পাশাপাশি, নির্যাতিতাকে এক লক্ষ টাকা দেওয়ার জন্য জেলা আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষকে বলেছে আদালত।

Advertisement

মামলার সরকারি আইনজীবী তপন রায় জানান, নির্যাতিতা কিশোরীর বাবা কেটারিং সার্ভিসের কাজ করত। তার স্ত্রী পরিচারিকার কাজ করেন। ওই দম্পতির এক নাবালক ছেলেও রয়েছে। বাড়িতে স্ত্রী এবং ছেলের অনুপস্থিতিতে ওই ব্যক্তি তার দশম শ্রেণির ছাত্রী মেয়ের উপরে দীর্ঘ দিন ধরে যৌন নির্যাতন চালিয়েছে।

গত বছর এক দিন স্কুল থেকে ফেরার পরে ফাঁকা বাড়িতে আবারও মেয়েকে যৌন হেনস্থার চেষ্টা করে সে। এর পরেই গোটা বিষয়টি মাকে জানায় মেয়ে। ২০২৩ সালের ৩ অগস্ট নির্যাতিতা এবং তার মা তপসিয়া থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। সে দিনই বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয় নির্যাতিতার বাবাকে।

Advertisement

বিচার চলাকালীন জামিন পায়নি অভিযুক্ত। এ দিন পকসো (১০) ধারায় তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। দোষী সাব্যস্ত করার পরে ওই ব্যক্তির বক্তব্য জানতে চান বিচারক। অভিযুক্ত বলে, ‘‘আমি কিছু করিনি।’’ বিচারক সাজা ঘোষণার পরে সে জানায়, দেড় লক্ষ টাকা জরিমানা দেওয়ার ক্ষমতা তার নেই। তখন বিচারক বলেন, ‘‘তা হলে আপনি জেলে থাকবেন। আপনি যা করেছেন, তাতে আপনার আর বাইরে থাকার অধিকার নেই।’’ এই মামলায় নির্যাতিতা, তার মা-সহ ছ'জন সাক্ষ্য দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন সরকারি আইনজীবী তপন রায়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement