মর্মান্তিক: দুর্ঘটনার পরে গাড়িটি।
নিউ টাউনে পথ দুর্ঘটনায় তিন তরুণের মৃত্যুতে নড়েচড়ে বসেছে বিধাননগর পুলিশ। মঙ্গলবার রাতেই নাকা-তল্লাশি শুরু হয় নিউ টাউনে। বুধবারও বিভিন্ন জায়গায় গাড়ির গতি পরীক্ষা করা হয়। নিউ টাউনের রাস্তায় গতি নিয়ন্ত্রণে কয়েকটি জায়গায় গার্ডরেলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। যদিও তাতে বেপরোয়া গাড়ির গতিতে কতটা রাশ টানা যাবে, তা নিয়ে সংশয়ে পুলিশকর্মীরাই। তাই আইনি পদক্ষেপের পাশাপাশি, সচেতনতায় আরও জোর দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
মঙ্গলবার ভোরে নিউ টাউনের সৃষ্টি মোড়ের কাছে তীব্র গতির একটি গাড়ি ইউ টার্ন নেওয়ার সময়ে দুর্ঘটনায় পড়ে। তাতে তিন বন্ধুর মৃত্যু হয় ও দু’জন আহত হন। আহতদের এক জনের আঘাত গুরুতর। বাইপাস সংলগ্ন একটি হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসা চলছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের একাংশ জানান, দুর্ঘটনার সময়ে গাড়িটির গতি এতটাই বেশি ছিল যে, পিছনে বসা তিন জনের এক জন গাড়ির বাইরে ছিটকে পড়েন। চালককে পরে গ্যাস কাটার দিয়ে কেটে বার করতে হয়। বুধবার আঞ্চলিক পরিবহণ দফতরের এক কর্তা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, নিউ টাউনে ভোরের দিকে পুলিশের নজরদারি কম থাকে। তখন গাড়ির চাপ কম থাকলেও যেগুলি চলে তাদের গতি বেশি থাকে। পুলিশ সূত্রের খবর, দিন বা রাতের অন্য সময়েও দুর্ঘটনা ঘটছে। সেই কারণেই গতি নিয়ন্ত্রণের পরিকল্পনা করা হচ্ছে। পুলিশ সূত্রের খবর, গত অগস্ট থেকে এখনও পর্যন্ত বাগুইআটি, বিমানবন্দর, রাজারহাট, নিউ টাউন ও সল্টলেক এলাকায় প্রায় ২০টি ছোটবড় দুর্ঘটনা ঘটেছে। তাতে আট জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত ৩৫ জন। গত তিন মাসে মত্ত অবস্থায় গাড়ি চালানো-সহ ট্র্যাফিক আইন ভঙ্গের অভিযোগে এক হাজারেরও বেশি চালকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে পুলিশ।
পুলিশের দাবি, স্পিড ব্রেকার বসানো ও সিসি ক্যামেরায় নজরদারির পাশাপাশি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে নজরদারি চালানো হয়। ট্র্যাফিক আইন ভাঙলে আইনি পদক্ষেপ করা হচ্ছে। স্কুল-কলেজে ‘সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ’ কর্মসূচির প্রচারে জোর দেওয়া হচ্ছে। পানশালা এলাকাগুলিতে নজর রাখার সঙ্গে নাকা-তল্লাশিও চালানো হচ্ছে।