ব্যাঙ্কের দোতলায় উঠে জানলা ভেঙে ভিতরে থাকা রক্ষীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রতীকী ছবি।
ব্যাঙ্কের ম্যানেজার বাইরে থেকে ডাকাডাকি করলেও দরজা খোলেননি ব্যাঙ্কের ভিতরে থাকা নিরাপত্তারক্ষী। মোবাইলে বারবার ফোন করলেও তা তোলেননি তিনি। সন্দেহ হওয়ায় পুলিশকে ফোন করেন ম্যানেজার। ততক্ষণে শ্যামপুকুরের রাজবল্লভপা়ড়ায় ওই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের সামনে ভিড় জমে গিয়েছে। পুলিশ গিয়ে মই বেয়ে ওই ব্যাঙ্কের দোতলায় উঠে জানলা ভেঙে ভিতরে থাকা রক্ষীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে। ঘটনাটি রবিবারের।
পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম অনুপকুমার ঘোষ (৫৬)। বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার বীজপুরে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, উত্তর কলকাতার রাজবল্লভপাড়ায় ওই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে বছর দুই আগে কাজে যোগ দেন প্রাক্তন সেনাকর্মী অনুপবাবু। শনিবার রাত আটটা নাগাদ ব্যাঙ্কের ডিউটিতে আসেন তিনি। এ দিন বেলা ১১টা নাগাদ তাঁর কাজ শেষ হওয়ার কথা। পুলিশ জানিয়েছে, রবিবার ব্যাঙ্কে কিছু কাজ থাকায় ম্যানেজার এগারোটা নাগাদ এসে দেখেন, মূল গেটের শাটার নামানো। দরজায় একাধিক বার আওয়াজ দেওয়া সত্ত্বেও রক্ষীর সাড়া না পাওয়ায় অনুপবাবুর মোবাইলে ফোন করেন তিনি। পুলিশ এসে দেখে, ব্যাঙ্কের নীচের তলায় সিলিং ফ্যান থেকে ঝুলছে অনুপবাবুর দেহ। আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা অনুপবাবুকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ব্যক্তি দীর্ঘ দিন ধরে অসুস্থ ছিলেন। নিয়মিত ওষুধও খেতেন। পুলিশ সূত্রের খবর, এটি নিছক আত্মহত্যা নাকি এই অস্বাভাবিক মৃত্যুর পিছনে অন্য কোনও কারণ আছে, তা জানতে মৃতের পরিজন ও ব্যাঙ্কের কর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।