প্রতীকী ছবি।
মুরারিপুকুরের একটি ক্লাবে এক ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে মারার ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করল শিয়ালদহ আদালত। বুধবার দ্বিতীয় ফাস্ট ট্র্যাক আদালতের বিচারক অজয়েন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য পাঁচ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে অপহরণ, খুন, বেআইনি ভাবে আটকে রাখার ধারায় চার্জ গঠন করেন।
এই মামলার বিশেষ সরকারি কৌঁসুলি অসীম কুমার জানান, গত ৫ জুন মুরারিপুকুরের একটি ক্লাব থেকে এক ব্যক্তির দেহ উদ্ধার হয়েছিল। জানা যায়, ওই ব্যক্তিকে পিটিয়ে মারা হয়েছে। পরে নিহতের পরিচয় প্রকাশ হয়। জানা যায়, রতন কর্মকার নামে ওই ব্যক্তি হরিশার হাটে এসেছিলেন। এই ঘটনায় তপন সাহা, সুরজিৎ কুণ্ডু, সৌমেন সরকার, দীপ সরকার এবং দিব্যেন্দু মৌলিক চৌধুরীকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। প্রাথমিক ভাবে খুনের মামলা রুজু হলেও পরে সিসিটিভি ফুটেজ থেকে দেখা গিয়েছে, হাট থেকে ওই ব্যক্তিকে ‘অপহরণ’ করে ক্লাবে নিয়ে আসা হয়েছিল। সে ক্ষেত্রে অপহরণের ধারা যুক্ত করা হয়।
অসীমবাবু জানান, ওই মামলায় তিন জন অভিযুক্ত এখনও জেলবন্দি। বাকি দু’জন জামিন পেয়েছেন। সম্প্রতি এক অভিযুক্ত কলকাতা হাইকোর্টে জামিনের আর্জি জানিয়েছিলেন। হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল, ৭ ডিসেম্বরের মধ্যে চার্জ গঠন করতে হবে। তার পরে ওই অভিযুক্তের জামিনের আর্জি শোনা হবে। হাইকোর্টের নির্দেশ মেনেই নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে চার্জ গঠন করা হয়েছে। আগামী সোমবার হাইকোর্টে এই মামলায় এক অভিযুক্তের জামিনের আর্জির শুনানি হতে পারে। শিয়ালদহ আদালত সূত্রের খবর, চার্জ গঠন হয়ে যাওয়ায় এ বার দ্রুত বিচার প্রক্রিয়াও শুরু করা হতে পারে।