Corona

কোভিড-বিধি মেনে প্র্যাক্টিক্যাল ক্লাস করানোর সিদ্ধান্ত কিছু স্কুলের

সম্প্রতি প্রকাশিত প্র্যাক্টিক্যাল পরীক্ষার রুটিন দেখে বেশির ভাগ পরীক্ষার্থীই উদ্বিগ্ন। সকলেরই প্রশ্ন, কোনও রকম প্রস্তুতি বা অনুশীলন ছাড়া কী ভাবে প্র্যাক্টিক্যাল পরীক্ষায় দেওয়া যাবে?

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২০ জানুয়ারি ২০২১ ০২:৫০
Share:

প্রতীকী ছবি।

উচ্চ মাধ্যমিকের প্র্যাক্টিক্যাল পরীক্ষার রুটিন প্রকাশিত হয়ে গেল, অথচ পরীক্ষার্থীরা এখনও পর্যন্ত এক দিনও প্র্যাক্টিক্যাল ক্লাস করতে পারল না!

Advertisement

শুধু লিখিত পরীক্ষার রুটিনই নয়, উচ্চ মাধ্যমিকের প্র্যাক্টিক্যাল পরীক্ষার রুটিনও বিজ্ঞপ্তি আকারে মঙ্গলবার প্রকাশ করেছে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। একটি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে তারা জানিয়ে দিয়েছে, উচ্চ মাধ্যমিক ও একাদশ শ্রেণির প্র্যাক্টিক্যাল পরীক্ষা স্কুলগুলিকে নিতে হবে ১০ থেকে ৩১ মার্চের মধ্যে। সেই সঙ্গেই জানানো হয়েছে, পরীক্ষা সম্পন্ন করে ২০ এপ্রিলের মধ্যে প্র্যাক্টিক্যালের নম্বর ও উত্তরপত্র সংসদ অফিসে জমা দিতে হবে। প্র্যাক্টিক্যাল পরীক্ষার বিষয়ভিত্তিক যাবতীয় বিবরণ সংসদের ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।

সম্প্রতি প্রকাশিত প্র্যাক্টিক্যাল পরীক্ষার রুটিন দেখে বেশির ভাগ পরীক্ষার্থীই উদ্বিগ্ন। চিন্তায় অভিভাবকেরাও। সকলেরই প্রশ্ন, কোনও রকম প্রস্তুতি বা অনুশীলন ছাড়া কী ভাবে প্র্যাক্টিক্যাল পরীক্ষায় দেওয়া যাবে?

Advertisement

এই পরিস্থিতিতে পরীক্ষার্থীদের কথা ভেবে এগিয়ে এসেছেন কয়েকটি স্কুলের কর্তৃপক্ষ। তাঁদের মতে, করোনার নিয়ম মেনে পরীক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন ফর্ম পূরণের জন্য যে রকম ব্যবস্থা করা হয়েছিল, সে ভাবেই সব রকম বিধি মেনে পরীক্ষার আগে তাঁরা কয়েকটি প্র্যাক্টিক্যাল ক্লাস করানোর ব্যবস্থা করবেন।

যাদবপুর বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষক পরিমল ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ নির্দেশ দিয়েছে, করোনা আবহে স্কুলগুলিকে নিজ নিজ দায়িত্ব ও ব্যবস্থাপনায় প্র্যাক্টিক্যাল পরীক্ষা সম্পূর্ণ করতে হবে। তার জন্য কিছু অনুশীলনও দরকার। পরিমলবাবু বলেন, “সংসদের নিয়ম মেনেই আমরা উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য প্র্যাক্টিক্যাল ক্লাসের ব্যবস্থা করছি। বিজ্ঞান শাখায় বিভিন্ন বিভাগের ছাত্রদের আলাদা আলাদা দিনে ডেকে কয়েকটি প্র্যাক্টিক্যাল ক্লাস নেওয়া হবে। খুব কম সংখ্যক ছাত্রদেরই এক দিনে ডাকা হবে।”

পড়াশোনা অনলাইনে হলেও প্র্যাক্টিক্যাল পরীক্ষা কোনও ভাবেই অনলাইনে নেওয়া সম্ভব নয় বলে মনে করেন কাটজুনগর স্বর্ণময়ী বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষক কাজি মাসুম আখতার। তাঁর প্রশ্ন, হাতেকলমে কিছু না শিখে পরীক্ষার্থীরা কী ভাবে প্র্যাক্টিক্যাল পরীক্ষা দেবে? তিনি জানান, কিছু প্র্যাক্টিক্যাল ক্লাসের রুটিন তাঁরা ইতিমধ্যেই তৈরি করে ফেলেছেন। কাজি মাসুম বলেন, “আমাদের স্কুলে কোভিড-বিধি মেনে প্র্যাক্টিক্যাল ক্লাস করানোর প্রচুর জায়গা আছে। পড়ুয়াদের বলব, ভাল মাস্ক পরে আসতে। সঙ্গে প্রত্যেককে স্যানিটাইজ়ারও আনতে হবে। কয়েকটি প্র্যাক্টিক্যাল ক্লাস না করেই সোজাসুজি প্র্যাক্টিক্যাল পরীক্ষায় বসা মানে তো সাঁতার না জেনে জলে নামা।” নব নালন্দা স্কুলের প্রধান শিক্ষক অরিজিৎ মিত্র জানান, তাঁদের প্র্যাক্টিক্যাল ক্লাসের রুটিন তৈরি। প্রতিটি ক্লাসেই কম সংখ্যক পরীক্ষার্থীকে ডেকে কয়েকটি ক্লাস নেওয়া হবে।

প্র্যাক্টিক্যাল ক্লাস করতে না পেরে তাঁদের স্কুলের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীরা খুবই উদ্বেগে রয়েছে বলে জানালেন বেলতলা গার্লস স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা অজন্তা মুখোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ ১০ থেকে ৩১ মার্চের মধ্যে প্র্যাক্টিক্যাল পরীক্ষা নিতে বলেছে। তার আগে কয়েকটি প্র্যাক্টিক্যাল ক্লাস করানোর পরিকল্পনা করেছি।” সংস্কৃত কলেজিয়েট স্কুলের প্রধান শিক্ষক দেবব্রত মুখোপাধ্যায় জানান, উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের অভিভাবকেরা ফোন করে বার বার জানতে চাইছেন প্র্যাক্টিক্যাল ক্লাস হবে কি না। দেবব্রতবাবু বলেন, “প্র্যাক্টিক্যাল ক্লাসের বিষয়ে অন্যেরা কী ভাবছেন, তা জানতে অন্যান্য স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলছি।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement