ফাইল চিত্র।
প্রায় দেড় বছর স্কুল বন্ধ। স্কুলগাড়ির মালিকদের রোজগারও প্রায় নেই। এই অবস্থায় ওই গাড়িগুলিকে ক্যাব বা ট্যাক্সির মতো ভাড়ায় খাটিয়ে আয়ের পথ খুলতে চান মালিকেরা। বর্তমান পরিস্থিতিতে দূরে যেতে অনেকেই গাড়ি ভাড়া করেন। কিন্তু বাণিজ্যিক স্কুলগাড়িগুলির কলকাতা এবং দুই ২৪ পরগনার বাইরে যাওয়ার ছাড়পত্র নেই। ফলে দূরে ভাড়া খাটিয়ে তাঁরা আয় করতে পারছেন না বলে অভিযোগ গাড়ির মালিকদের।
জট খুলতে ‘পুলকার ওনার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন’-এর তরফে বৃহস্পতিবার রাজ্যের পরিবহণ সচিবকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। কলকাতা এবং দুই ২৪ পরগনার প্রায় সাড়ে তিন হাজার অনুমোদিত স্কুলগাড়ি যাতে যাত্রী নিয়ে রাজ্যে চলাচল করতে পারে, সেই অনুমতি চাওয়া হয়েছে চিঠিতে। সংগঠনের সম্পাদক সুদীপ দত্ত এ দিন বলেন, ‘‘২০১৬ সাল থেকে বছর দুয়েকের জন্য আমাদের ওই অনুমতিপত্র বা পারমিট দেওয়া হয়েছিল। পরে সরকার তা ফিরিয়ে নেয়।’’ তাঁর দাবি, দীর্ঘ সময় স্কুল বন্ধ থাকায় স্কুলগাড়ির মালিকদের রোজগার নেই। রাজ্য সরকার ওই অনুমতি দিলে তাঁরা ভাড়া দিয়ে কিছুটা আয় করতে পারবেন।
সংক্রমণ না বাড়লে পুজোর পরে স্কুল খুলে দেওয়ার চিন্তাভাবনা রয়েছে রাজ্য সরকারের। যদিও সেই বিষয়ে নিশ্চয়তা নেই। স্কুলগাড়ির মালিকদের দাবি, অতিমারি পরিস্থিতিতে দূরত্ব-বিধি মানার স্বার্থে অনেকেই গণপরিবহণ এড়াতে গাড়ি ভাড়া করতে চাইছেন। এই পথে আয়ের সুযোগ তৈরি হলে স্কুলগাড়ির মালিকদের সমস্যারও কিছুটা সুরাহা হবে।