ভাড়া দিয়ে অনুষ্ঠান! স্কুলে তালা পুরসভার

বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে পুরসভার দু’টি স্কুল বেআইনি ভাবে ভাড়া দিয়ে টাকা তোলার অভিযোগ উঠল স্থানীয় এক তৃণমূল কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে।

Advertisement

অনুপ চট্টোপাধ্যায়

শেষ আপডেট: ২৪ অক্টোবর ২০১৮ ০০:২৩
Share:

প্রতীকী ছবি।

বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে পুরসভার দু’টি স্কুল বেআইনি ভাবে ভাড়া দিয়ে টাকা তোলার অভিযোগ উঠল স্থানীয় এক তৃণমূল কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, গরম ও পুজোর ছুটিতে এবং অন্য সময়ে ক্লাস শেষ হওয়ার পরে মধ্য কলকাতার চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউ লাগোয়া মার্কাস স্কোয়ার এবং মদনমোহন বর্মণ স্ট্রিটে কলকাতা পুরসভার দু’টি প্রাথমিক স্কুলের উপরের তলা ভাড়া দেওয়া হত। এই অভিযোগের জেরে মঙ্গলবার পুরসভার শিক্ষা দফতরের একাধিক আধিকারিক স্কুলে গিয়ে তালা মেরে দেন। তবে কেন আগেই এর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি, তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে পুর প্রশাসনে।

Advertisement

পুরসভা সূত্রের খবর, ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডের ৪, মার্কাস স্কোয়ার এবং ৮২, মদনমোহন বর্মণ স্ট্রিট ঠিকানায় ওই দু’টি স্কুলের উপরের তলা বিয়ে, শ্রাদ্ধ-সহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ভাড়া দেওয়া হত বলে অভিযোগ। যদিও এ বাবদ কোনও টাকা পুরসভায় জমা পড়ত না। এমনকি, স্কুলগুলির ভিতরে নানা অসামাজিক কাজ চলত বলেও অভিযোগ। এই ঘটনায় নাম জড়িয়েছে স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর মহম্মদ জসিমুদ্দিনের। যদিও তিনি এই অভিযোগ মিথ্যে বলে উড়িয়ে দিয়ে বলছেন, ‘‘স্কুলের উপর তলা খালি থাকে। সেখানে কখনও-সখনও কোন গরিবকে অনুষ্ঠান করতে দেওয়া হত। তবে তা একেবারে বিনামূল্যে।’’ কিন্তু এর জন্য কি পুরসভার অনুমতি নেওয়া হত? জবাবে জসিমুদ্দিন বলেন, ‘‘আমার ওয়ার্ডে কোনও কমিউনিটি হল নেই। বস্তি দফতর জানে। স্কুলের উপরের তলা খালি থাকে। তাই গরিবদের সুবিধার জন্য দেওয়া হত।’’

পুরসভার শিক্ষা দফতরের এক পদস্থ আধিকারিক অবশ্য জানাচ্ছেন, স্কুলের ওই ভবন দু’টি শিক্ষা দফতরের অধীনে। তাই তাদের না জানিয়ে অথবা পুর প্রশাসনের অনুমতি না নিয়ে সেখানে কোনও অনুষ্ঠান করা পুরোপুরি বেআইনি। শিক্ষা দফতরের মেয়র পারিষদ অভিজিৎ মুখোপাধ্যায় এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘স্কুল ভবনে ওই ধরনের কাজ ঠিক নয়। তাও আবার অনুমতি না নিয়ে।’’ পুরসভা সূত্রের খবর, ওই স্কুলগুলিতে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের ভিডিয়ো ফুটেজ পুরসভায় জমা পড়েছে। যা দেখে তাজ্জব পুর কর্তারা। পুরসভার এক বিশেষ কমিশনার জানাচ্ছেন, খবর নিয়ে তাঁরা জানতে পেরেছেন যে, স্কুলে তালা দেওয়া থাকলেও অনুষ্ঠানের জন্য তা ভেঙে ফেলা হয়েছিল। কেউ প্রতিবাদ করার সাহস পাননি। পুজোর ছুটির মধ্যেও অবাধেই চলছিল স্কুল ভাড়া দেওয়া।

Advertisement

তবে এ নিয়ে জল এত দূর গড়ানোয় রীতিমতো অস্বস্তিতে অভিযুক্ত কাউন্সিলর। বললেন, ‘‘গরিব মানুষের জন্য এটা করা হচ্ছিল। এখন বন্ধ করা ছাড়া উপায় নেই।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement