প্রতীকী ছবি।
পথ কর-সহ অন্যান্য একাধিক কর ছাড়ের দাবিতে দেড় মাসের মধ্যে দ্বিতীয় বার মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির উদ্দেশে মিছিল করলেন স্কুলবাসের মালিক, চালক এবং কর্মীরা। তাঁদের অভিযোগ, রাজ্য পরিবহণ দফতর-সহ বিভিন্ন জায়গায় গত কয়েক মাসে ছ’বার চিঠি দিলেও তাঁদের দাবি বিবেচনা করা হয়নি।
করোনা পরিস্থিতিতে বেসরকারি বাস, মিনিবাস, ট্যাক্সির ক্ষেত্রে আগামী জুন মাস পর্যন্ত পথ কর মকুব করার কথা জানিয়েছে রাজ্য।
বাণিজ্যিক গাড়ির শংসাপত্র নেওয়ার ক্ষেত্রে দেরির জন্য যে জরিমানা ধার্য করা হয় তা-ও মকুব করার কথা। কিন্তু বেসরকারি যাত্রিবাহী গাড়ির ক্ষেত্রে ছাড় মিললেও স্কুলবাসের ক্ষেত্রে তা দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ ওয়েস্ট বেঙ্গল কন্ট্র্যাক্ট ক্যারেজ ওনার্স অ্যান্ড অপারেটর্স অ্যাসোসিয়েশনের। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ন’টা নাগাদ চালক, কর্মী এবং মালিক মিলে সংগঠনের হাজারখানেক সদস্য মিছিল করে প্রায় ১০ মিনিট আশুতোষ মুখার্জি রোড অবরোধ করেন। পরে তাঁদের প্রতিনিধিদল কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির সামনে পুলিশকর্মীদের হাতে স্মারকলিপি দিয়ে আসে।
এ দিন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক হিমাদ্রি গঙ্গোপাধ্যায় অভিযোগ করেন, বেসরকারি বাস-মিনিবাসের ক্ষেত্রে সরকার পারমিট ফি, পথ কর মেটানো এবং সংক্রান্ত কোনও শংসাপত্র নেওয়ার ক্ষেত্রে দেরির জন্য জরিমানা মকুব করছে। গত মার্চ থেকে টানা স্কুলবাস বন্ধ থাকায় স্কুল কর্তৃপক্ষ বা অভিভাবকদের কেউই টাকা দিচ্ছেন না। অথচ বাসের চালক, কর্মী এবং আয়াদের নিয়মিত বেতন দিতে হচ্ছে। পরিস্থিতি সামলাতে সরকারি কর ছাড়ের দাবি জানানোর পাশাপাশি দ্রুত স্কুল খোলার দাবিও তুলেছেন হিমাদ্রিবাবু। তিনি জানান, কলকাতা, দুই ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি মিলে প্রায় ৫০০০ স্কুল বাস রয়েছে। সব চালক, কর্মী এবং তাঁদের পরিবার ধরলে প্রায় ২০ হাজার মানুষের লকডাউনের পর থেকে আয় নেই। স্কুলগুলির কাছে অভিযোগ জানিয়ে ফল হয়নি। তিনি বলেন, ‘‘দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছে। সরকার ব্যবস্থা না নিলে কর্মীদের আত্মহত্যা করা ছাড়া উপায় থাকবে না। দ্রুত মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ প্রার্থনা করছি।’’