— ফাইল চিত্র
কলকাতা পুরসভার ভোট করানো কবে সম্ভব হবে, রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে তা জানতে চাইল সুপ্রিম কোর্ট। তবে পুরসভার মাথায় ফিরহাদ হাকিমের নেতৃত্বে যে প্রশাসকমণ্ডলী রয়েছে, তারাই এখন কাজ চালিয়ে যাবে।
কলকাতা পুরসভার ভোট না করিয়ে ফের ফিরহাদ হাকিমের নেতৃত্বে প্রশাসকমণ্ডলী নিয়োগের বিরুদ্ধে আগেই সুপ্রিম কোর্ট ও কলকাতা হাইকোর্টে মামলা হয়েছে। রাজনৈতিক স্তরেও বিজেপি ও সিপিএম বিরোধিতা করেছে। উত্তর কলকাতার বাসিন্দা শরদকুমার সিংহ এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। অগস্টে হাইকোর্টের বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ সেই মামলা খারিজ করে দেয়। একই সঙ্গে হাইকোর্ট রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ দেয়, কোভিড পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলেই দ্রুত পুরভোট করাতে হবে।
হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ফের সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেন শরদ। তাঁর আর্জি ছিল, হাইকোর্টের রায়ে স্থগিতাদেশ জারি করা হোক। দ্রুত পুরসভার নির্বাচন করানো হোক। নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত পুরসভার মাথায় একটি আদালত নিযুক্ত কমিটি বসানো হোক।
আরও পড়ুন: কাজ গিয়েছে করোনায়, মাথায় হাত ডেকরেটরদের
সুপ্রিম কোর্টের শুনানিতে এ দিন রাজ্য সরকারের পক্ষে অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি ও কলকাতা পুরসভার পক্ষে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় হাজির ছিলেন। বিচারপতি সঞ্জয় কিষেণ কউল রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে জানাতে বলেন, কবে নির্বাচন করানো সম্ভব হবে। সুপ্রিম কোর্ট অবশ্য হাইকোর্টের রায়ে স্থগিতাদেশ জারি করতে রাজি হয়নি।
মেয়র ও কাউন্সিলরদের কার্যকালের মেয়াদ ৭ মে শেষ হয়ে গিয়েছে। রাজ্যের নগরোন্নয়ন দফতর কলকাতা পুর আইন (১৯৮০)-এর ৬৩৪ নম্বর ধারায় প্রশাসকমণ্ডলী গঠন করে। কোভিড সংক্রমণের জন্য ব্যতিক্রমী পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, ফলে রাজ্য নির্বাচন কমিশনও পুর ভোট করাতে অপারগ বলে যুক্তি দেওয়া হয়। রাজ্যের যুক্তি, করোনার প্রকোপ কমলেই নির্বাচন হবে। নির্বাচন হবে না, এই অভিযোগের যৌক্তিকতা নেই। শীর্ষ আদালতেও সে কথাই জানানো হবে।