প্রতীকী ছবি।
ছ’মাসের মধ্যে পুরনো গাড়ি বাতিল সংক্রান্ত মামলায় সর্বোচ্চ আদালতে সাময়িক স্বস্তি পেল রাজ্য সরকার। জাতীয় পরিবেশ আদালত নির্দেশ দিয়েছিল, ছ’মাসের মধ্যে রাজ্যে যাবতীয় পুরনো গাড়ি বাতিল করতে হবে। চলতে পারবে শুধুমাত্র বিএস (ভারত স্টেজ)-৬ শ্রেণিভুক্ত গাড়ি। এই নির্দেশ নিয়ে আপত্তি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছিল রাজ্য সরকার। মঙ্গলবার সর্বোচ্চ আদালতে বিচারপতি সঞ্জয় কিষেন কওল এবং বিচারপতি অভয় এস ওকারের ডিভিশন বেঞ্চে রাজ্যের হয়ে সওয়াল করেন আইনজীবী মধুমিতা ভট্টাচার্য। যার পরিপ্রেক্ষিতে ওই ডিভিশন বেঞ্চ ছ’মাসের মধ্যে পুরনো সব গাড়ি বাতিল করে শুধুমাত্র বিএস-৬ শ্রেণির গাড়ি চলতে দেওয়ার নির্দেশের উপরে স্থগিতাদেশ জারি করেছে বলে পরিবহণ দফতর সূত্রের খবর। এর ফলে তড়িঘড়ি পুরনো গাড়ি বাতিল করতে হবে না। এ দিন পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী বলেন, ‘‘পরিবেশগত কারণে আমরা নিশ্চয়ই ১৫ বছরের পুরনো গাড়ি বাতিল করব। তবে, তাতে একটু সময় লাগবে। আমরা ধাপে ধাপে সেই কাজ করছি। সুপ্রিম কোর্ট আমাদের সময় দেওয়ায় আমরা খুশি।’’
এই মামলায় নোটিস জারি করে অন্য পক্ষকে তাদের বক্তব্য জানাতে বলেছে আদালত। বিষয়টি নিয়ে জাতীয় পরিবেশ আদালতে মামলাকারী সুভাষ দত্তের বক্তব্য জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, সর্বোচ্চ আদালতের স্থগিতাদেশ সম্পর্কে তা এখনও ১৫ বছর পেরোয়নি। তাই সেগুলি হঠাৎ বাতিল করা হলে বিপুল লোকসানের মুখে পড়তেন মালিকেরা। অসংখ্য পরিবহণকর্মী কাজ হারাতেন। তাঁদের বক্তব্য, অতিমারি-পর্বে দু’বছর মন্দা চলার পরে গাড়ি বাতিলের আকস্মিক সিদ্ধান্তে বেসরকারি পরিবহণ ব্যবস্থা ভেঙে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল। এ দিন এআইটিইউসি-র ট্যাক্সি এবং অ্যাপ-ক্যাব চালকদের সংগঠনের নেতা নওলকিশোর শ্রীবাস্তব বলেন, ‘‘আমরা এই রায়কে স্বাগত জানাচ্ছি। শুধুমাত্র বিএস-৬ শ্রেণিভুক্ত না হওয়ার কারণে অনেক গাড়ি বাতিল করা হলে বিপুল পরিমাণ আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তেন বহু মানুষ। অনেক পরিবহণকর্মী কাজ হারাতেন।’’ ‘‘সিটি সাবার্বান বাস সার্ভিস’-এর সাধারণ সম্পাদক টিটু সাহা এবং ‘অনলাইন অ্যাপ-ক্যাব অপারেটর্স গিল্ড’-এর সাধারণ সম্পাদক ইন্দ্রনীল বন্দ্যোপাধ্যায়ও এই স্থগিতাদেশকে স্বাগত জানিয়েছেন। তাঁদের বক্তব্য, আর্থিক ক্ষতির ধাক্কায় ধুঁকতে থাকা পরিবহণ শিল্পে সাময়িক সুরাহা মিলল।