রেড রোড-কাণ্ডের শুনানিতে হাজিরই হলেন না সরকারি কৌঁসুলি

রেড রোডের ঘটনায় দ্রুত নিষ্পত্তি চায় সেনাবাহিনী। যে ভাবে বায়ুসেনার কর্পোরাল অভিমন্যু গৌড়কে চাপা দিয়ে মেরে ফেলা হয়, তা মেনে নিতে পারেননি সেনা অফিসারেরা। অভিমন্যুর পরিবারও। দ্রুত দোষীর শাস্তি চান তাঁরা। অথচ, এই মামলা নিয়ে সরকার পক্ষের গড়িমসির অভিযোগ উঠল সোমবার।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২১ মার্চ ২০১৬ ২০:০৭
Share:

সাম্বিয়া সোহরাব।

রেড রোডের ঘটনায় দ্রুত নিষ্পত্তি চায় সেনাবাহিনী। যে ভাবে বায়ুসেনার কর্পোরাল অভিমন্যু গৌড়কে চাপা দিয়ে মেরে ফেলা হয়, তা মেনে নিতে পারেননি সেনা অফিসারেরা। অভিমন্যুর পরিবারও। দ্রুত দোষীর শাস্তি চান তাঁরা। অথচ, এই মামলা নিয়ে সরকার পক্ষের গড়িমসির অভিযোগ উঠল সোমবার।

Advertisement

ইতিমধ্যেই চার্জশিট পেশ হয়ে গিয়েছে। তার পরে সোমবারে শুনানির দিনে আদালতে হাজিরই হলেন না সরকারি আইনজীবী। সরকারি আইনজীবীদের তরফে এই ঘটনাকে অনিচ্ছাকৃত ভুল বোঝাবুঝি বলে জানানো হয়েছে। সরকারি আইনজীবী না থাকায় এ দিনের শুনানি হয়নি। বিচারক ৪ এপ্রিল পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছেন। তত দিন পর্যন্ত ওই ঘটনায় অভিযুক্ত সাম্বিয়া সোহরাবকে জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।

১৩ জানুয়ারি ভোরে রেড রোডে প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজের মহড়া চলাকালীন পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে বেপরোয়া গাড়ি পিষে দিয়েছিল অভিমন্যুকে। ১০ মার্চ ব্যাঙ্কশাল আদালতে ওই ঘটনার চার্জশিট পেশ করে কলকাতা পুলিশ। ৩৫১ পাতার এই চার্জশিটে ৮২ জন সাক্ষীর বয়ান নেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে রয়েছেন সেনা অফিসারেরাও। সাম্বিয়ার বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ আনা হয়। তাঁর দুই বন্ধু শানু এবং জনির বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, তাঁরা মূল অপরাধীকে পালিয়ে যেতে সাহায্য করেছেন।

Advertisement


আরও খবর

সাম্বিয়া জেলেই, জামিন দুই বন্ধুর

শানু এবং জনি দু’জনেরই জামিন হয়ে গিয়েছে। এই ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত সাম্বিয়ার বাবা, মহম্মদ সোহরাব এখনও অধরা। তাঁর বিরুদ্ধেও ছেলেকে পালিয়ে যেতে সাহায্য করার অভিযোগ রয়েছে।

সোমবার ব্যাঙ্কশাল আদালতে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সুমন কুমার ঘোষের এজলাসে সাম্বিয়া ছাড়াও হাজির করা হয়েছিল জনি ও শানুকে। প্রথমে দুপুর ১২টা নাগাদ তাঁদের হাজির করা হলে, সরকারি আইনজীবী না আসায় ফের দুপুর ১টায় সময় দেন বিচারক। কিন্তু দুপুর ১টা নাগাদ ফের এই মামলা আদালতে তোলা হলে দেখা যায়, তখনও সরকারি আইনজীবী এসে পৌঁছননি। তখন সাম্বিয়াকে ফের জেল হেফাজতে পাঠান বিচারক।

কেন এসে পৌঁছতে পারলেন না সরকারি আইনজীবী? সরকারি আইনজীবী তমাল মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘সময় সম্পর্কে একটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। আমরা আদালতকে সেটা দরখাস্ত দিয়ে জানিয়েছি। চার্জশিটের প্রতিলিপি অভিযুক্ত পক্ষকে দেওয়ার জন্য আমরা প্রস্তুত আছি।’’ তিনি জানান, এ দিনের মামলায় হাজির থাকার কথা ছিল তাঁর এবং শিশির ঘোষের। আগের হাজিরার দিনগুলিতে দুপুরের পর এই মামলা শুরু করা হত বলে তাঁদের ধারণা হয়েছিল, এ দিনও দেরি করেই মামলাটি শুরু হবে। তাই তাঁরা হাইকোর্টে অন্য মামলার কাজে ব্যস্ত ছিলেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement