Kolkata

সারানো হয়নি ট্যাঙ্কের ফাটল, দুর্ঘটনার শঙ্কা

এ বার কোনও কোনও জায়গায় জলাধারের দেওয়াল থেকে সিমেন্ট-বালির আস্তরণ খসে লোহাও বেরিয়ে পড়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৭ জানুয়ারি ২০২১ ০৬:৪৭
Share:

সল্টলেকের সাত নম্বর জলের ট্যাঙ্কের বেহাল দশা। নিজস্ব চিত্র

জলের ওভারহেড ট্যাঙ্ক, পাম্প ঘর ঘিরে থাকা পাঁচিলের একাংশ ভেঙেছিল আমপানের দাপটে। ওভারহেড ট্যাঙ্কের বিভিন্ন জায়গায় দেখা দিয়েছিলে ফাটল। এ বার কোনও কোনও জায়গায় জলাধারের দেওয়াল থেকে সিমেন্ট-বালির আস্তরণ খসে লোহাও বেরিয়ে পড়েছে। পাম্প ঘরের অবস্থাও সঙ্গিন। দেওয়াল ও ছাদের বিভিন্ন জায়গায় ফাটল দিয়ে চুঁইয়ে পড়ছে জল।

Advertisement

এমনই অবস্থায় রয়েছে সল্টলেকের সাত নম্বর জলের ট্যাঙ্ক। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, ওই জলাধারের বিভিন্ন জায়গায় যে ভাবে ফাটল ধরে লোহা বেরিয়ে পড়েছে তাতে বড় বিপদের আশঙ্কা প্রতিদিন বাড়ছে। অবিলম্বে জলাধারটির সংস্কারের প্রয়োজন। কিন্তু তাঁদের অভিযোগ, বিধাননগর পুরসভার তরফে বিষয়টি নিয়ে তেমন তৎপরতা দেখা যাচ্ছে না। শুধু তা-ই নয় আমপানের পরে এত মাস কেটে গেলেও পাঁচিল মেরামত করারও উদ্যোগ দেখা যায়নি।

স্থানীয় ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের কোঅর্ডিনেটর অনিতা মণ্ডল জানান, এই সমস্যা সম্পর্কে তাঁরা ওয়াকিবহাল। বিস্তারিত ভাবে পুরসভাকে সমস্ত জানানো হয়েছে। আধিকারিকেরা এসে সরেজমিন পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেছেন। বিপদের আশঙ্কা রয়েছে বলে বাসিন্দারাও অভিযোগ জানিয়েছেন। পুরসভার কাছে দ্রুত সংস্কারের আবেদন করা হয়েছে বলেও অনিতাদেবী জানান।

Advertisement

বিধাননগর পুরসভার জল সরবরাহ দফতর সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই ওই জলাধারটির অবস্থা খতিয়ে দেখে সংস্কারের খরচ নিয়ে হিসেব করা হয়েছে। তবে এত দিনেও কেন সেই কাজ শুরু হল না, তা নিয়ে স্পষ্ট জবাব মেলেনি। তবে পুরসভার আধিকারিকদের একাংশের কথায়, করোনা পরিস্থিতিতে পুরসভার আয় অনেকটাই কমেছে। ফলে ইচ্ছে থাকলেও ওই ধরনের সংস্কারের কাজে হাত দেওয়া যায়নি। তবে জরুরি সংস্কারের কাজ শুরু করতে চলছে পর্যালোচনা। পুরসভার একাধিক আধিকারিক জানিয়েছেন, শুধু জলের ট্যাঙ্ক নয়, পাঁচিল থেকে শুরু করে সংলগ্ন বিভিন্ন পরিকাঠামোর সংস্কারও করা হবে।

বিধাননগর পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারপার্সন কৃষ্ণা চক্রবর্তী জানান, পুরসভা সমস্যাটি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল। ইতিমধ্যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ওই জলের ট্যাঙ্কে কোথায়, কতটা ক্ষতি হয়েছে তা নিয়ে বিস্তারিত পর্যালোচনা করার পরে খরচের হিসেবও করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞদেরও সাহায্য নেওয়া হয়েছে। প্রক্রিয়াগত কারণে সংস্কার শুরু করতে কিছুটা সময় লাগছে। তবে জলের বিষয়টি জরুরি, তাই ট্যাঙ্কটি দ্রুত মেরামতের চেষ্টা করা হচ্ছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement