প্রতীকী ছবি।
ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা পড়ার পরেই গায়েব হয়ে গিয়েছে বেতনের টাকা। বিধাননগর পুলিশের কাছে এমনই অভিযোগ দায়ের করেছেন রেলে কর্মরত এক ব্যক্তি।বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেট এলাকার বাসিন্দা ওই অভিযোগকারী জানিয়েছেন, টাকা গায়েব হওয়ার পাশাপাশি তাঁর অ্যাকাউন্টের ডেবিট কার্ডটিও ‘ব্লক’ হয়ে গিয়েছে। প্রসঙ্গত, কয়েক মাস আগেই ওই ব্যক্তির মোবাইল ফোনটি চুরি হয়ে গিয়েছিল।
অভিযোগকারী জানিয়েছেন, গত জুলাই মাসে ট্রেনে চড়ে অফিসে যাওয়ার পথে তাঁর মোবাইলটি চুরি যায়। তিনি জিআরপি-তে অভিযোগ জানান। সেপ্টেম্বর মাসে জিআরপি সেই মোবাইল উদ্ধার করে বিহার থেকে।
এর পরে চলতি মাসে বেতনের টাকা অ্যাকাউন্টে ঢোকার মেসেজ পেয়ে তিনি ব্যাঙ্কে টাকা তুলতে যান। সেখানে তিনি জানতে পারেন, অ্যাকাউন্ট থেকে ওই টাকা আগেই তোলা হয়ে গিয়েছে। ওই ব্যক্তি বলেন, ‘‘ফোন চুরি যাওয়ার পরেই সিম কার্ড ব্লক করে দিয়েছিলাম। তার পরেও কী ভাবে তথ্য পাচার হল, বুঝতে পারছি না।” ওই ব্যক্তি অবশ্য জানিয়েছেন, চুরি যাওয়া মোবাইলে ডেবিট কার্ড ও নেট ব্যাঙ্কিংয়ের পিন-সহ বিভিন্ন তথ্য লিপিবদ্ধ করেছিলেন তিনি। ফলে চুরির ঘটনার সঙ্গে বেতনের টাকা গায়েব হওয়ার সম্পর্ক রয়েছে বলেই তাঁর অনুমান। ওই ব্যক্তি জানিয়েছেন, জুলাইয়ে ফোন চুরি যাওয়ার পরে নতুন ফোন কেনেন তিনি। সেই সঙ্গে ওই একই নম্বরের একটি নতুন সিম কার্ড নেন। উদ্ধার হওয়া ফোনটি মেয়েকে ব্যবহার করার জন্য দিয়েছিলেন তিনি।
সাইবার-অপরাধ বিশেষজ্ঞ, আইনজীবী বিভাস চট্টোপাধ্যায়ের মতে, “ফোনে ব্যাঙ্কের তথ্য লিখে রাখা ঠিক নয়। সিম কার্ড ব্লক করার সঙ্গে সঙ্গে সমস্ত পাসওয়ার্ডও বদলানো দরকার। না হলে দুষ্কৃতীরা নেট ব্যাঙ্কিংয়ের মাধ্যমে অ্যাকাউন্ট সাফ করে দিতে পারে।’’