এটিএম কার্ড সোদপুরের বাড়িতে। অথচ টাকা উঠল মুম্বইয়ের এটিএম থেকে। সম্প্রতি এমনই অভিজ্ঞতা হয়েছে সোদপুর নাটাগড়ের বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মী রঞ্জনকুমার ঘোষের।
রঞ্জনবাবুর অভিযোগ, গত ২৫ এপ্রিল রাত ১২টা থেকে পাঁচ মিনিটের ব্যবধানে পরপর চারটি এসএমএস ঢোকে তাঁর মোবাইলে। তাতে লেখা ছিল, মুম্বইয়ের স্বস্তিক পার্কের একটি এটিএম থেকে প্রতি বার দশ হাজার করে তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তোলা হয়েছে। তাঁর কার্ড থেকে টাকা তোলার সীমা ৪০ হাজার। তাই পঞ্চম বার চেষ্টা করার পরেও সফল হয়নি। তখন টাকা না ওঠার একটি এসএমএসও পান ওই ব্যক্তি।
পরের দিনই রঞ্জনবাবু ছোটেন স্টেট ব্যাঙ্কের এইচবি টাউন শাখায়। সেখানেই পেনশনের সেভিংস অ্যাকাউন্ট রয়েছে তাঁর। কিন্তু রঞ্জনবাবুর অভিযোগ, ‘‘ব্যাঙ্ক বা পুলিশ কেউই বিষয়টিতে গুরুত্ব দেয়নি। উপরন্তু এখানে-ওখানে ছুটে বেড়াতে হচ্ছে।’’ এসবিআইয়ের সংশ্লিষ্ট শাখার এক আধিকারিকের বক্তব্য, ‘‘এটিএমের বিষয়টি আমরা দেখি না। সংশ্লিষ্ট বিভাগে অভিযোগ পাঠানো হয়েছে।’’
রঞ্জনবাবু জানান, ব্যাঙ্ক থেকে তাঁকে পুলিশে অভিযোগ জানাতে বলা হয়। তাঁর এলাকা ঘোলা থানায় অভিযোগ জানাতে গেলে ওই ব্যাঙ্কের স্থানীয় থানায় যেতে বলা হয়। সেই মতো রঞ্জনবাবু খড়দহ থানায় পৌঁছলে তাঁকে জানানো হয়, এই বিষয় দেখার কথা সাইবার ক্রাইম দফতরের। আজ, শুক্রবার ব্যারাকপুরের ডেপুটি পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে দেখা করার কথা তাঁর। ব্যারাকপুরের ডিসি (২) ধ্রুবজ্যোতি দে বলেন, ‘‘আমরা অভিযোগ খতিয়ে দেখছি। নিশ্চয়ই যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’