প্রতীকী ছবি।
দোকানের দোতলায় দেওয়ালের ক্যাবিনেটে রাখা ছিল ১৫ লক্ষ টাকা-সহ সুটকেস। গত শনিবার সকালে দোকান খোলার কিছু ক্ষণের মধ্যেই দেখা যায়, সেই সুটকেসটি উধাও। অনেক খুঁজেও না-পেয়ে বড়বাজার থানায় অভিযোগ জানান দোকানের মালিক। তদন্তে নেমে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে ওই দোকানের কর্মী-সহ এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদের থেকে উদ্ধার হয়েছে চুরি যাওয়া টাকা।
পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম মৃত্যুঞ্জয় ঝা এবং রাহুল সাহু। তাদের বাড়ি উত্তরপাড়ায়। তদন্তকারীরা জানান, বড়বাজার থানা এলাকার রূপচাঁদ রায় স্ট্রিটে প্লাস্টিকের সরঞ্জামের দোকান রয়েছে হাওড়ার বাসিন্দা সুনীলকুমার বেদের। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দোতলায় ক্যাবিনেটে একটি সুটকেসে ১৫ লক্ষ টাকা রেখে যান সুনীলবাবু। শুক্রবার লকডাউনে দোকান বন্ধ ছিল। শনিবার এক কর্মী প্রথমে দোকান খুলে দোতলায় উঠে ধূপ জ্বালিয়ে যান। কিছু ক্ষণ পরে হিসাবরক্ষক দোতলায় গিয়ে দেখেন, দরজা খোলা। সুটকেস উধাও। সঙ্গে সঙ্গে নীচে থাকা ম্যানেজারকে ঘটনাটি জানান তিনি। যে কর্মী প্রথম উপরে গিয়েছিল, তাকে জিজ্ঞাসা করা হলে সে ঘটনার কথা অস্বীকার করেন। এর পরেই পুলিশের দ্বারস্থ হন সুনীলবাবু।
সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে তদন্তকারীরা জানতে পারেন, যে কর্মী শনিবার প্রথম উপরে গিয়েছিল, তার সঙ্গে আরও এক যুবক ঢুকেছিল। মৃত্যুঞ্জয় ঝা নামে ওই কর্মী প্রথমে অস্বীকার করলেও পরে পুলিশি জেরায় স্বীকার করে, সে আর এক জনকে নিয়ে ওই ঘরে ঢুকেছিল এবং টাকা-সহ সুটকেসটি তাকে দিয়ে দেয়।
মৃত্যুঞ্জয়কে জেরা করে রাহুলের খোঁজ পায় পুলিশ। ধৃতেরা জানায়, ঢাকুরিয়ার একটি বাড়িতে ১৫ লক্ষ টাকা-সহ ওই সুটকেসটি তারা রেখে এসেছে। সেখান থেকে ওই টাকা উদ্ধার করেন তদন্তকারীরা।