Calcutta University Syndicate Meeting

শিক্ষা দফতরের নিষেধ অগ্রাহ্য করেই কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট বৈঠকে বসল!

রেজিস্ট্রারের কাছে উচ্চশিক্ষা দফতর থেকে একটি চিঠি পাঠানো হয় সোমবার। জানানো হয়, যে হেতু কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন স্থায়ী উপাচার্য নেই, তাই নিয়ম অনুযায়ী সিন্ডিকেটের বৈঠক করা যায় না।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১২ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৮:৫৭
Share:

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ

বিকাশ ভবন থেকে চিঠি পাঠানো হয়েছিল। রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুও ‘বারণ’ করেন। কিন্তু, তা কার্যত অগ্রাহ্য করে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট বৈঠক হল মঙ্গলবার দুপুরে। আর তাই নিয়ে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে তৃণমূল ছাত্রপরিষদের (টিএমসিপি) সদস্যরা বিক্ষোভ শুরু করলেন।

Advertisement

বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন, বিভিন্ন বাজেট, পরীক্ষা ইত্যাদি যাবতীয় সিদ্ধান্ত সিন্ডিকেটের বৈঠকেই নির্ধারিত হয়। রাজ্যপাল তথা রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য সিভি আনন্দ বোস নিয়োজিত কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য শান্তা দত্ত জানিয়েছিলেন, তাঁরা ১২ ডিসেম্বর সিন্ডিকেট মিটিং ডেকেছেন। তার জন্য উচ্চশিক্ষা দফতরের কাছে অনুমতি চাওয়া হয়েছে। রাজ্যপাল তথা আচার্য ইতিমধ্যে অনুমতি দিয়েছেন। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের কাছে উচ্চশিক্ষা দফতরের বিকাশ ভবনের অফিস থেকে একটি চিঠি পাঠানো হয় সোমবার। তাতে জানিয়ে দেওয়া হয়, যে হেতু বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন স্থায়ী উপাচার্য নেই, তাই নিয়ম অনুযায়ী সিন্ডিকেটের বৈঠক করা যায় না। করলে সেটা সংশ্লিষ্ট আইনের অমান্য হবে। চিঠিতে এ-ও বলা হয়, রাজ্যপাল নিয়োজিত ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য (শান্তা দত্ত) এখন দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। এই অবস্থায় আইন অনুযায়ী কোনও সিন্ডিকেট বৈঠক বিশ্ববিদ্যালয় ডাকতে পারে না। চিঠিতে আরও বলা হয়, তার পরেও বৈঠক হলে সেটা রাজ্য সরকারের অনুমতিক্রমে হচ্ছে না।

বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভে টিএমসিপি। —নিজস্ব চিত্র।

কিন্তু তার পরেও মঙ্গলবার দুপুরে সিন্ডিকেটের বৈঠকে বসেন ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য এবং অন্যান্য সদস্য। সেই খবর ছড়িয়ে পড়তেই শুরু হয় বিক্ষোভ। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বারভাঙ্গা বিল্ডিংয়ের সামনে বিক্ষোভ করেন শাসকদলের ছাত্র সংগঠনের সদস্যেরা। তাঁদের এ-ও অভিযোগ, সিন্ডিকেটের বৈঠক চলাকালীন সেখানে বনগাঁ উত্তরের বিজেপি বিধায়ক অশোক কীর্তনিয়া ঢুকেছেন। যদিও এ নিয়ে শান্তা বা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কেউ এ পর্যন্ত কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি।

Advertisement

বস্তুত, রাজ্যপাল নিযুক্ত ভারপ্রাপ্ত উপাচার্যের ভূমিকারও সমালোচনা করেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য। তিনি বলেছিলেন, ‘‘উনি মনে করতেই পারেন, যা করছেন, সব ঠিক। কিন্তু বাস্তব তো তা নয়। রাজ্যপাল সুপ্রিম কোর্টকেও মানছেন না। উনি সুপ্রিম কোর্টকেও অগ্রাহ্য করতে চাইছেন। উনি বলতে চাইছেন, উনিই শেষ কথা।’’ পাশাপাশি নাম-না করে শান্তাকে খোঁচা দেন শিক্ষামন্ত্রী। তাঁর কথায়, ‘‘উনি উপাচার্য নন। পাশের বাড়িতে কারা পরীক্ষা নেবেন, তা নিয়ে ওঁর এত মাথা ব্যথা কেন? আর আচার্য মাছের তেলে মাছ ভাজতে পারেন কি না, সেটাও নৈতিক প্রশ্ন।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement