জোকায় এই বাড়িটিতেই ডাকাতি চালানো হয়েছে।
মেসোর বাড়িতে পুরুষ বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে ডাকাতি করে গেল এক তরুণী! ঘটনাটি ঘটেছে জোকা ডায়মন্ড পার্কে এক চিকিৎসকের ফ্ল্যাটে। শুধু ডাকাতি নয়, লুঠের সময় মাসতুতো বোন এবং বাড়ির পরিচারিকাকে বটি দিয়ে কুপিয়ে পালালো তারা।
পেশায় চিকিৎসক অরূপ কুমার দাস ঘটনার সময়ে বাড়িতে ছিলেন না। ফ্ল্যাটে ছিলেন তাঁর বড় মেয়ে শাল্মলী এবং পরিচারিকা কল্পনা। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বেলা দু’টো নাগাদ হঠাৎই শাল্মলীর চিৎকারে বেরিয়ে আসেন প্রতিবেশীরা। দেখেন শাল্মলী রক্তাক্ত। তিনিই প্রতিবেশীদের ঘরে নিয়ে যান যেখানে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় পড়ে ছিলেন পরিচারিকা কল্পনা।
প্রতিবেশীরাই খবর দেন অরূপবাবুকে। তিনি এসে কল্পনা এবং শাল্মলীকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানেই চিকিৎসাধীন দু’জন।
আরও পড়ুন:প্রাথমিক শিক্ষকদের আন্দোলনে অবরুদ্ধ বাঘাযতীন, পার্থর সঙ্গে বৈঠকেও মিলল না রফাসূত্র
আরও পড়ুন: ‘আর কারও কাছে যাওয়ার দরকার নেই’, অধ্যাপকসভায় মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের ‘অর্থ’ বুঝতে চাইলেন রাজ্যপাল
প্রাথমিকভাবে পুলিশ শাল্মলীর কাছ থেকে জানতে পেরেছে, তাঁর এক মাসতুতো বোন থাকেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার চম্পাহাটিতে। কল্পনাও ওই বোনকে চিনতেন। মঙ্গলবার দুপুরে ওই বোন ফ্ল্যাটের কলিং বেল বাজালে কল্পনা দরজা খুলে দেন। এ দিন ওই বোনের সঙ্গে ছিল এক যুবক। জানা গিয়েছে, ওই সময়ে শাল্মলী স্নানঘরে ছিল। তাঁর বোন পড়তে গিয়েছিল। অরূপবাবুর স্ত্রীও কয়েক বছর আগে মারা গিয়েছেন।
শাল্মলী পুলিশকে জানিয়েছেন, তিনি বাথরুম থেকে বেরোতেই একটি বটি নিয়ে তার মাথায় আঘাত করে মাসতুতো বোন। কল্পনা বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে তাঁকে একটি ফুলদানি দিয়ে মাথায় আঘাত করে। এর পর বটি ধরে অরূপবাবুর ফ্ল্যাটে থাকা সিন্দুকের কম্বিনেশন লক খুলতে বলে শাল্মলীকে। ভল্ট খোলার পরই সেখান থেকে নগদ দেড় লাখ টাকা এবং প্রায় আড়াই লাখ টাকার সোনার গয়না নিয়ে চম্পট দেয় মামাতো বোন এবং তার পুরুষ সঙ্গী।
অরূপবাবু হরিদেবপুর থানার পুলিশকে খবর দেন। ঘটনাস্থলে যান ডিভিশনাল ডেপুটি কমিশনার নীলাঞ্জন বিশ্বাস। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে গোয়েন্দা বিভাগও।