‘অমানবিক’ ঘটনার প্রতিবাদে অবরোধ

গড়িয়াহাটে একটি সোনার দোকানের সামনে শুয়েছিলেন এক মানসিক ভারসাম্যহীন যুবক। এই সময়ে তাঁকে দোকানের সামনে থেকে উঠে যেতে বলেন দোকানের কর্মী। দু’একবার চলে যেতে বলা সত্ত্বেও ওই যুবক সেখান থেকে উঠে যাননি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ৩১ মার্চ ২০১৭ ০১:০১
Share:

গড়িয়াহাটে একটি সোনার দোকানের সামনে শুয়েছিলেন এক মানসিক ভারসাম্যহীন যুবক। এই সময়ে তাঁকে দোকানের সামনে থেকে উঠে যেতে বলেন দোকানের কর্মী। দু’একবার চলে যেতে বলা সত্ত্বেও ওই যুবক সেখান থেকে উঠে যাননি। এর পরেই ওই দোকানের এক কর্মী লাঠি দিয়ে তাকে মারেন বলে অভিযোগ। শুধু তাই নয়, তাঁকে যখন মারধর করা হচ্ছিল সেই সময়ে লাগোয়া দোকানিরাও তাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসেনি বলেও অভিযোগ।

Advertisement

কয়েক জন পথচারী এই ঘটনা দেখে এগিয়ে এসে ওই যুবককে উদ্ধার করেন। এ দিনের এই ‘অমানবিক’ ঘটনার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার বিকেল পাঁচটা নাগাদ বিজন সেতুর সামনে পথ অবরোধ করেন স্থানীয় বাসিন্দা এবং পথচারীদের একাংশ। পুলিশ এসে হস্তক্ষেপ করলে অবরোধ উঠে যায়। পরে গড়িয়াহাট থানার পুলিশ ওই ব্যক্তিকে এম আর বাঙ্গুর হাসপাতালে ভর্তি করায়। পুলিশের কাছে এই ঘটনা নিয়ে কোনও অভিযোগ হয়নি।

এ দিন ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, ওই যুবককে মারার অভিযোগ যাঁর বিরুদ্ধে, সেই ব্যক্তি নেই। দোকানও বন্ধ রয়েছে। স্থানীয় এক সরবত বিক্রেতা সুনীল দাস জানান, মানসিক ভারসাম্যহীন ওই যুবক ওখানেই থাকতেন। আশপাশের দোকানিরাই তাঁকে নিয়মিত খাওয়াতেন ও দেখাশোনা করতেন। তবে, ইদানীং ওই যুবক মানুষকে কামড়ে দিতেন বলে অভিযোগ। সুনীলবাবুর কথায়, ‘‘আজও দোকানের সামনে শুয়েছিলেন। কেউ দোকানে ঢুকতে বা বেরোতে পারছিলেন না। দোকানের এক কর্মী তাঁকে সরতে বলেন ও কটূক্তি করেন। ওই কর্মী তাঁকে লাঠি দিয়েও মারেন।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement