অমরনাথ শর্মা
চিংড়িঘাটা মোড়ে দুর্ঘটনার ১৮ দিনের মাথায় অনেকটা একই ধাঁচে দুর্ঘটনা ঘটল সল্টলেকের পাঁচ নম্বর সেক্টরে। ঘটনায় এক তথ্যপ্রযুক্তি কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও এক তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী। বুধবার সকাল সাড়ে ৬টা থেকে ৭টার মধ্যে ঘটনাটি ঘটে। মৃতের নাম অমরনাথ শর্মা (২৮)। আহত বাইকচালক সুদামা জায়সবালকে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ছেড়ে দেওয়া হয়।
পুলিশ জানায়, কলকাতার দিক থেকে একটি স্কুলবাস পাঁচ নম্বর সেক্টরের দিকে যাচ্ছিল। একই পথে পাঁচ নম্বর সেক্টরের দিকে মোটরবাইক চালিয়ে যাচ্ছিলেন চারু মার্কেট এলাকার বাসিন্দা সুদামা জায়সবাল। বাইকের পিছনে বসেছিলেন তাঁরই সহকর্মী অমরনাথ। তাঁরা দেশপ্রাণ শাসমল রোডে নিজেদের বাড়ি থেকে অফিসে যাচ্ছিলেন। নিকো পার্ক মোড় পেরিয়ে নবদিগন্ত উড়ালপুলের আগে একটি বাঁকে স্কুলবাসের চালক গাড়ি ঘোরাচ্ছিলেন, পিছনেই ছিল বাইকটি। বাসের পিছন দিকটি গিয়ে মোটরবাইকে ধাক্কা মারলে ছিটকে পড়ে যান চালক ও আরোহী।
মোটরবাইক চালক সুদামা সংবাদমাধ্যমকে জানান, স্কুলবাসটিকে ইউ টার্ন করতে দেখে তাঁরা মোটরবাইক নিয়ে প্রথমে দাঁড়িয়ে পড়েন। যাতে স্কুলবাসের সঙ্গে ধাক্কা না লাগে সে জন্য মোটরবাইক কিছুটা ঘুরিয়েও নেন। কিন্তু তাঁর অভিযোগ, বাসটি ঘুরতে গিয়ে মোটরবাইকে ধাক্কা মারে।
তিনি ডান দিকে ছিটকে পড়েন। অমরনাথ বাঁ দিকে পড়লে বাসের পিছনের চাকা তাঁর কোমরের উপর দিয়ে চলে যায়। হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা ওই যুবককে মৃত বলে ঘোষণা করেন। যদিও প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, দুই বাইক আরোহীর মাথাতেই হেলমেট ছিল।
মোটরবাইক চালকদের একাংশের দাবি, এক শ্রেণির বড় বাসের চালক রাস্তা থেকে ডান অথবা বাঁ দিকে ঘোরানোর সময়ে কিংবা ইউ টার্ন নেওয়ার সময়ে কোনও ছোট গাড়ি থাকলে খেয়াল করেন না। চিংড়িঘাটায় যেমন হয়েছিল, অনেকটা সেই ধাঁচেই এ দিনও স্কুলবাসের চালক খেয়ালই করেননি যে, পিছনে একটি মোটরবাইক রয়েছে। বাস চালকদের একাংশের আবার দাবি, বড় বাস ঘোরাতে কিছুটা বেশি জায়গা লাগে। পিছনে থাকা গাড়ির চালকদের তা চোখে পড়ার কথা। কিন্তু তা সত্ত্বেও ছোট গাড়ি কিংবা মোটরবাইক এক চিলতে জায়গা পেলেও গাড়ি নিয়ে ঢুকে পড়ে।
স্থানীয়দের একাংশ জানান, ওই বাসটি একটি সেনা স্কুলের বাস ছিল। কী ভাবে দুর্ঘটনা ঘটেছিল তা খতিয়ে দেখে পদক্ষেপ করা হবে বলে জানিয়েছে বিধাননগর পুলিশ।