সন্ধ্যা ৬টায় কালীঘাটের বাড়িতে ১৫ জন জুনিয়র ডাক্তারকে বৈঠকে আহ্বান করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা
দ্রুত ‘স্বচ্ছ’ আলোচনা চেয়ে নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে শনিবার ইমেল করেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। সেই বার্তায় সাড়া দিয়ে কালীঘাটের বাড়িতে বৈঠকে আহ্বান জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
মূল ঘটনা
কালীঘাটের বাড়িতে বৈঠকে জুনিয়র ডাক্তারদের আহ্বান মুখ্যমন্ত্রীর
(বাঁ দিকে) জুনিয়র ডাক্তারদের ইমেল মুখ্যসচিব মনোজ পন্থের। (ডান দিকে) মুখ্যমন্ত্রীকে ইমেল জুনিয়র ডাক্তারদের।
দ্রুত ‘স্বচ্ছ’ আলোচনা চেয়ে নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে শনিবার ইমেল করেন আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তারেরা। সেই বার্তায় সাড়া দিয়ে কালীঘাটের বাড়িতে বৈঠকে সন্ধ্যা ৬টায় আহ্বান জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানিয়েছেন, ১৫ জনের প্রতিনিধি দল উপস্থিত থাকতে পারবেন সেই বৈঠকে। তবে ডাক্তারেরা ৩০ জনের প্রতিনিধি দল নিয়েই বৈঠকে বসতে চান।
আপনার সদর্থক উত্তরের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি
ইমেল মারফত মুখ্যমন্ত্রীকে ডাক্তারেরা জানিয়েছেন, ‘‘এই অচলাবস্থা কাটাতে আপনার সদর্থক উত্তরের জন্য আমরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি। স্বচ্ছতার সঙ্গে আলোচনা আশা করছি।’’
দ্রুত ‘স্বচ্ছ’ আলোচনা চেয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে ইমেল ডাক্তারদের
মুখ্যমন্ত্রীর আহ্বানে সাড়া দিলেন আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তারেরা। তাঁরা জানিয়েছেন, নবান্নে ইমেল করেছেন। সময়, তারিখ এবং স্থান জানানোর আবেদন করা হয়েছে সেখানে। শুধু তাই-ই নয়, দ্রুত ‘স্বচ্ছ’ আলোচনার কথাও জানিয়েছেন ডাক্তারেরা।
আমাদের দাবিদাওয়া আমাদের কাছে আসল জায়গা
নিজেদের মধ্যে বৈঠক শেষে ডাক্তারেরা বলেন, ‘‘আমরা আলোচনায় বসতে চাই। আজকে চাইলে আজকে। এখনই চাইলে এখনই। আমাদের দাবিদাওয়া আমাদের কাছে আসল জায়গা। তা নিয়েই আমরা বসতে চাই।” আলোচনায় জট কাটতে পারে। আমরা বার বার বলেছি। যে কোনও মুহূর্তে কাটতে পারে।
নিজেদের মধ্যে বৈঠক জুনিয়র ডাক্তারদের
মুখ্যমন্ত্রী স্বাস্থ্য ভবনের সামনে ধর্নামঞ্চ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর পরবর্তী পদক্ষেপ স্থির করতে জুনিয়র ডাক্তারেরা নিজেদের মধ্যে আলোচনায় বসেছেন।
মুখ্যমন্ত্রী আলোচনায় বসতে চাইছেন
জুনিয়র ডাক্তার অনিকেত মাহাতো বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী আলোচনায় বসতে চাইছেন। আমরাও পাঁচ দফা দাবি নিয়ে আলোচনায় বসতে চাইছি। বার বার আমরা এক কথাই বলছি, আমরাও আলোচনায় বসতে রাজি আছি।”
আলোচনার জন্য মুখ্যমন্ত্রী যেখানে ডাকবেন আমরা যাব
রাগ বা জেদাজেদির কোনও বিষয় নয়। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে যে কোনও জায়গায় আলোচনা করতে রাজি আছি। আমরা আধ-এক ঘণ্টা সময় চেয়ে নিচ্ছি। তার মধ্যে মুখ্যমন্ত্রী যেখানে ডাকবেন আমরা যাব।
৩৪ দিন পর কেন এই দৃষ্টিভঙ্গি?
জুনিয়র ডাক্তার অনিকেত মাহাতো বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের অভিভাবক। তিনি যে কোনও জায়গায় আসতে পারেন। আমাদের ধর্নামঞ্চে এসেছেন, স্বাগত জানাচ্ছি। আমাদের আন্দোলনের প্রতি এটাকে সদর্থক বলে মনে করি। এক জন অভিভাবক হিসাবে তিনি যে দৃষ্টিভঙ্গি দেখালেন, তা থাকা উচিত। কিন্তু ৩৪ দিন পর কেন এই দৃষ্টিভঙ্গি?”
এখনই আলোচনার মাধ্যমে অচলাবস্থা কাটানোর দাবি জানাচ্ছি
পাঁচ দফা নিয়ে আমরা কোনও রকম সমঝোতায় যেতে চাই না। দাবি নিয়ে অতি দ্রুত আলোচনায় বসতে চাই। আমরা বলেছি, পাঁচ দফা দাবি নিয়ে যে কোনও সময়ে আলোচনায় বসতে পারি। মুখ্যমন্ত্রী এখানে এসেছেন, সাধুবাদ জানাচ্ছি। এখনই আলোচনার মাধ্যমে অচলাবস্থা কাটানোর দাবি জানাচ্ছি। আমাদের দাবি মুখ্যমন্ত্রী মেনে নিন।
আমাদের মধ্যে কোনও দ্বিমত নেই
আমাদের মধ্যে কোনও দ্বিমত নেই। আমরা আলোচনায় বসতে চাই। দ্রুত কাজে ফিরতে চাই। কিন্তু আমাদের যে ন্যায্য দাবি, তা নিয়ে মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে এখনই আলোচনায় বসতে চাই।
পাঁচ দফা দাবি নিয়ে যে কোনও জায়গায় আলোচনায় বসতে চাই
আমাদের আন্দোলনের যে ধারা, যে স্পিরিট, সেই অনুযায়ীই চলবে। আমাদের পাঁচ দফা দাবি, সেই দাবি নিয়ে যে কোনও জায়গায় আলোচনায় বসতে চাই, বললেন জুনিয়র ডাক্তারেরা।