কর্মকাণ্ড: এখানেই হচ্ছে সুইমিং পুল। ছবি: শশাঙ্ক মণ্ডল
বহু বছর পড়ে থেকে নষ্ট হয়ে গিয়েছিল সুইমিং পুলটি। এ বার নতুন করে সাজানো হচ্ছে বারুইপুর পুরসভার বিপরীতে, কুলপি রোডের সেই সুইমিং পুল। কাজ করছে পূর্ত দফতর। বাসিন্দাদের অভিযোগ, সঠিক মানের না হওয়ায় ১২৫০ বর্গমিটার আয়তনের পুলটি অব্যবহৃত হয়ে পড়েছিল।
পুরসভা সূত্রে খবর, আশির দশকের শেষ দিকে বাম আমলে তৈরি সুইমিং পুলের সূচনা করেন তৎকালীন ক্রীড়ামন্ত্রী সুভাষ চক্রবর্তী। অভিযোগ, সুইমিং পুলটি কোনও দিনই ব্যবহারযোগ্য হয়ে ওঠেনি। এ বার একই আয়তনের সুইমিং পুল নতুন করে গড়ছে পূর্ত দফতর।
পূর্ত দফতর সূত্রে খবর, এতে খরচ হচ্ছে ৪ কোটি ৭৫ লক্ষ টাকা। টাকা দিচ্ছে রাজ্য ক্রীড়া দফতর। পুলের শুরুর দিক থেকে প্রথম ১৫ মিটারের গভীরতা ১.৩৫ মিটার। তার পর থেকে শেষ পর্যন্ত গভীরতা ২.৫ মিটার। থাকবে মোট দশটি ট্র্যাক। এক সঙ্গে দশ জন প্রতিযোগী সাঁতার কাটতে পারবেন সেখানে। পাশেই থাকবে পাম্প রুম। মহিলা-পুরুষদের জন্য চেঞ্জ রুম এবং খেলোয়াড়দের জন্য রয়েছে স্নানঘর-সহ শৌচালয়। এ ছাড়াও থাকছে ৩৫০ আসনের গ্যালারি, ৪০ আসনের ভিআইপি লাউঞ্জ। উপর তলায় থাকবে ক্যাফেটেরিয়া, রান্নাঘর এবং মহিলা ও পুরুষদের জন্য শৌচালয়।
বারুইপুর পুরসভার পুরপ্রধান শক্তি রায়চৌধুরী বলেন, ‘‘পুরসভার নিজস্ব ওই সুইমিং পুলটিতে উপযুক্ত পরিকাঠামো না থাকায় দীর্ঘ দিন অব্যবহৃত হয়ে পড়েছিল। প্রায় ৩১ কাঠার ওই জায়গার সদ্ব্যবহারের জন্য রাজ্য সরকারের কাছে আবেদন করেছিলাম। তাতে সাড়া দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। বারুইপুরবাসী এই উপহার পেতে চলেছেন তাঁরই উদ্যোগে।’’
পূর্ত দফতর সূত্রে খবর, ২০১৫-র শেষ ভাগেই শুরু হয়ে গিয়েছে কাজ। দফতরের এক আধিকারিক জানান, আগের সুইমিং পুল সম্পূর্ণ ভেঙে নতুন করে তৈরি হচ্ছে। তাই একটু সময় লাগছে। থাকছে চারটি পাম্প এবং তিনটি জল শোধনের যন্ত্র। এই মুহূর্তে সুইমিং পুলে টাইলস বসানোর কাজ চলছে। জুলাইয়ে কাজ শেষ করার উদ্যোগ নিয়েছে পূর্ত দফতর। বাসিন্দাদের দাবি, কাজ শেষ হলে এই পুলে জাতীয় স্তরের প্রতিযোগিতার আয়োজনও করা যাবে। পাশাপাশি বারুইপুরের বাসিন্দাদের সাঁতার প্রশিক্ষণেও ব্যবহার করা যাবে পুলটি।